সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরে শেষে বিহারে বিধানসভা ভোট। তার আগে কি কৌশলে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে বানপ্রস্থ পাঠাতে চলেছে বিজেপি? গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতার মন্তব্যে তুঙ্গে চর্চা।

পর পর বিতর্কে উসকে দিলেন বিহারের বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা অশ্বিনী চৌবে এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি। অশ্বিনীর প্রস্তাব, উপপ্রধানমন্ত্রী করে দিল্লি পাঠানো হোক নীতীশকে। এর মধ্যেই হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন, বিহারের বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সম্রাট চৌধুরীকে পরবর্তী ভোটে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে দল লড়াইয়ে নামতে চলেছে। বলা বাহুল্য লাগাতার এমন মন্তব্যে চাপে জেডিইউ। গেরুয়া শিবিরের কৌশল বুঝে উঠতে অস্বস্তিতে পড়ছে নীতীশের দল। এখন প্রশ্ন হল, কোন দিকে জল গড়াবে?
নীতীশকে নিয়ে জল্পনা আগেও ছিল। গত পাঁচ বছরে ছোট শরিক হয়েও মুখ্যমন্ত্রী পদ রয়েছেন তিনি। এই নিয়ে বিজেপির অন্দরে কথা উঠেছে। এবারে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী বিজেপির কেউ হোক, চাইছেন রাজ্যের নেতা-কর্মীরা। সম্ভবত সেই কথাই উঠে এসেছে সাইনির মুখে। যদিও কিছুদিন আগে এই বিষয়ে আস্বস্তি কাটাতে মুখ খোলেন অমিত শাহ। তিনি দাবি করেন, আসন্ন বিধানসভা ভোটে নীতীশের নেতৃত্বেই লড়বে এনডিএ জোট। শাহের ঘোষণায় আশ্বস্তও হয়েছিল জেডিইউ শিবির। এই ঘটনায় নীতীশ-ঘনিষ্ঠ রাজীব রঞ্জন সিং বলেন, "অমিত শাহ তো বলেই দিয়েছেন, নীতীশের নেতৃত্বে বিহারে এনডিএ লড়বে।" যদিও ভিতরে ভিতরে চিন্তিত আঞ্চলিক দলটি।
নীতীশের দলের কাটা গায়ে নুনের ছিটে দিচ্ছে লালুর প্রসাদ যাদবের দল আরজেডি। তেজস্বী যাদবের কটাক্ষ, "বারবার মুখ্যমন্ত্রী মুখ পরিবর্তনের কথা বলছেন বিজেপি নেতারা। নীতীশ কুমারের দলের বিষয়টি হালকা ভাবে নেওয়া আদৌ উচিত নয়।"