সোমনাথ রায় ও গোবিন্দ রায়: দ্রুত শুনানি হোক ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় নিয়োগ পেয়েও শিক্ষকদের বাতিল হওয়া চাকরির মামলার। এই মর্মে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টারের কাছে আবেদন জানালেন চাকরি খোয়ানো একাংশের শিক্ষকদের আইনজীবী শেখর কুমার। সব মিলিয়ে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছিল। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মামলাটির শুনানির আবেদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে ইমেল করে আবেদন জানিয়েছেন শেখর। ১৬ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই মামলার শেষ শুনানি হয়েছিল। এর পর মামলাটি একাধিকবার শুনানির তালিকাভুক্ত হলেও শেষ পর্যন্ত শুনানি হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছিলেন ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলে রাজ্যের ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। সেদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এই রায় চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে যাবে রাজ্য। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী তেমনটাই হয়। হাই কোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট।
তৎকালীন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ সেদিন আরও নির্দেশ দিয়েছিল যে, পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত বহাল থাকবে ২০১৬ সালের প্যানেলের প্রত্যেকের চাকরি। তবে প্রত্যেককে এই মর্মে মুচলেকা দিতে হবে, যাঁরা অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন প্রমাণ হবে, তাঁদের ৭ মে থেকে রায়ের দিন পর্যন্ত প্রাপ্ত বেতন সুদ-সহ ফেরত দিতে হবে। পাশাপাশি বলা হয়, অবৈধ নিয়োগ সংক্রান্ত যে তদন্ত চলছিল, তা চালিয়ে যাবে সিবিআই। যদিও রাজ্যের মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে তদন্তে যে স্থগিতাদেশ ছিল, তা বহাল রাখবে। অর্থাৎ রাজ্যের মন্ত্রীদের প্রতি কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।