সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দল ও পরিবার থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর নয়া দল গঠন করে বিহার রাজনীতিতে পা রেখেছেন লালুপুত্র তেজপ্রতাপ। বিহারের মহুয়া আসন থেকে প্রার্থীও হয়েছেন তিনি। বিহার নির্বাচনের মাঝেই এহেন তেজপ্রতাপের নিরাপত্তা বাড়াল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অমিত শাহের মন্ত্রকের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জনশক্তি জনতা দলের প্রধানকে দেওয়া হবে ওয়াই প্লাস (Y+) ক্যাটাগরির নিরাপত্তা।
বিহারের যা পরিস্থিতি তাতে প্রাণহানির আশঙ্কা করে কেন্দ্রের কাছে আগেই নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছিলেন তেজপ্রতাপ। রিপোর্ট বলছে, তাঁর আবেদনকে গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা সংস্থাগুলির তরফে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই লালুপুত্রকে ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই Y+ ক্যাটাগরির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। তাঁর জন্য বরাদ্দ থাকবে ১১ জন কমান্ডো। ভিভিআইপি তেজপ্রতাপের বাড়ি ও যাবতীয় সফরে তাঁর সঙ্গে থাকবেন ৫ জন জওয়ান। এছাড়া ৬ জন পিএসও তিনটি শিফটে তাঁকে নিরাপত্তা দেবেন।
উল্লেখ্য, বিহার নির্বাচনের ঠিক আগে নয়া দল গঠন করে রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন তেজপ্রতাপ। ২৪৩ আসনের বিহারে মোট ৪৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছেন তিনি। নিজেও দাঁড়িয়েছেন ভিভিআইপি মহুয়া কেন্দ্র থেকে। নিজের জয়ের বিষয়েও বেশ আত্মবিশ্বাসী তিনি। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তেজপ্রতাপ বলেন, "আমি মহুয়ার মানুষের জন্য অনেক কাজ করেছি। ফলে তাঁরা যে আমায় আশীর্বাদ করবেন সে বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।"
বিজেপির কিছু নেতাও তেজপ্রতাপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। সে বিষয়ে অবশ্য তেজপ্রতাপের দাবি, ভালো কাজের অবশ্যই প্রশংসা করা উচিত এবং নেতিবাচক রাজনীতির সমালোচনা হওয়া উচিত। আমরা ভালো কাজে বিশ্বাস করি, এবং জনগণ অবশ্যই সে কাজের প্রশংসা করবে। যদিও বিহার রাজনীতির অলিন্দে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, দল গঠনের অল্প দিনের মাথায় তেজপ্রতাপের এভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার নেপথ্যে হাত রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। এই নির্বাচনে তেজপ্রতাপকে 'বি টিম' হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি। তাই লালুপুত্রের আবদার মেটাতেই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা তারই একটি অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
