সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা দেশে হাতে রয়েছে আর মাত্র ৩টি রাজ্য। উত্তর ভারত থেকে কার্যত নিশ্চিহ্ন দল। তবু কংগ্রেস (Congress) রয়ে গিয়েছে কংগ্রেসেই। একটুও বদলায়নি সংস্কৃতি। তেলেঙ্গানায় দলের অন্দরে যা যা হচ্ছে, সেটা তার জলজ্যান্ত উদাহরণ।
পাঁচ রাজ্যের ভোটে একটি মাত্র রাজ্য কোনওরকমে দখল করেছে হাত শিবির। বাকি চার রাজ্যে দলের শক্তি তলানিতে। যে তেলেঙ্গানা কংগ্রেসকে দুর্দশার মধ্যে সান্ত্বনা পুরস্কার দিয়েছে, সেই তেলেঙ্গানাতেও দল কোন্দলে জর্জরিত। শোনা গিয়েছিল, বুধবারই হায়দরাবাদের কুরসিতে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কংগ্রেসের দলনেতা শপথ নেবেন। সেই মতো মঞ্চও প্রস্তুত ছিল। ফুল-মিষ্টির অর্ডারও দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব বানচাল। যা খবর তাতে বুধবার কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ হচ্ছে না। কারণ, কংগ্রেস এখনও নিজেদের দলনেতা অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীই ঠিক করে উঠতে পারেনি।
[আরও পড়ুন: শিশিরের বিরুদ্ধে CBI তদন্ত? কুণাল ঘোষের আবেদনে পালটা চিঠি অমিত শাহর]
সোমবার কংগ্রেসের নব নির্বাচিত বিধায়করা হায়দরাবাদের গান্ধী ভবনে বৈঠকে বসেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পড়শি রাজ্য কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার (DK Shivakumar), প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রেবন্ত রেড্ডি, কর্নাটকের মন্ত্রী কেজে জর্জ, কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাসমুন্সি এবং এআইসিসির (AICC) পর্যবেক্ষকরা। ঘণ্টাখানেক নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন কংগ্রেস বিধায়ক ও নেতৃবৃন্দ। যদিও মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রসের পরিষদীয় নেতা কে হবেন তা চূড়ান্ত করা যায়নি। এই অবস্থায় বল পাঠানো হয়েছে হাইকমান্ডের কোর্টে।
[আরও পড়ুন: ‘ব্যক্তিগত আক্রমণ ভুলে দুর্নীতি দূর করব’, সাক্ষাৎকারে অকপট বিধায়ক জেজে]
আসলে একযোগে চার কংগ্রেস নেতা রেবন্তের নামে আপত্তি জানিয়েছেন। উত্তম কুমার রেড্ডি, ভাট্টি বিক্রমার্ক, কোমাটিরেড্ডি ভেঙ্কট রেড্ডি, দামোদর রাজনরসিমারা বলছেন, রেবন্ত রেড্ডি (Revanth Reddy) নিজেকে তেলেঙ্গানার জনগণ এবং বিধায়কদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আসলে তিনি তা নন। তাছাড়া, রেবন্ত অনভিজ্ঞ, সারাজীবন বিরোধী রাজনীতি করে এসেছেন, একটা সময় আরএসএসেও ছিলেন। তাই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা ঠিক হবে না। আসলে যারা এই সব অভিযোগ করছেন, তাঁরা সকলেই মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার। যা পরিস্থিতি তাতে এখনই এই মুখ্যমন্ত্রী বিবাদ মেটার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।