সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএসআই-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিরুপতি সংলগ্ন হোটেলে বিস্ফোরণের ছক খোদ তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর! চাঞ্চল্যকর এমনই এক ইমেলে শোরগোল অন্ধ্রপ্রদেশের জনপ্রিয় তীর্থস্থান তিরুপতিতে। ওই উড়ো ইমেলে দাবি করা হয়, মন্দির সংলগ্ন তিনটি হোটেলে রাখা রয়েছে বোমা। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়াল পর্যটক ও স্থানীয়দের মধ্যে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ এই হুমকি ফোন আসে, তিরুপতি মন্দির সংলগ্ন লীলা মহল, কপিলা তীর্থম ও আলিপিরি নামের তিন হোটেলে। ইমেল মারফত জানানো হয়, 'পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এই হোটেলে বোমা রেখেছে। রাত্রি ১১টা নাগাদ বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া এই হোটেলগুলি।' শুধু তাই নয়, খোদ তামিললাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলে দাবি করা হয় ওই ইমেলে। এহেন হুমকি আসার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন হোটেল কর্তৃপক্ষ।
খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত হন পুলিশ কর্তারা। আনা হয় স্নিফার ডগ। হোটেল থেকে সব পর্যটকদের বের করে চলে তল্লাশি অভিযান। যদিও দীর্ঘ তল্লাশিতেও সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি হোটেল থেকে। এহেন হুমকি বার্তা কে বা কারা পাঠাল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইমেল পরীক্ষা করে আইপি অ্যাড্রেস চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই হুমকি বার্তায় তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর নাম। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলায় স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়েছে।
প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে শতাধিক অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমানে হুমকিবার্তা দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। ভুয়ো হুমকিবার্তার বিরুদ্ধে কী কী আইনি পদক্ষেপ করা যায় এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করারও চিন্তাভাবনা চলছে। এরই মাঝে নতুন করে বোমাতঙ্ক ছড়ায় দিল্লি, হায়দরাবাদ, তামিলনাড়ুর একাধিক সিআরপিএফ স্কুলে। এবার জনপ্রিয় তীর্থস্থানের হোটেলেও বোমাতঙ্ক।