নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: শুধু একটি ইস্যুতে সংসদ অচল করে রাখা নয়। মানুষের ইস্যু তুলে ধরতে অধিবেশন চলতে দিতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। সেই সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের শরিক কংগ্রেসকেও পরোক্ষে বুঝিয়ে দেওয়া হল, তাঁদের নেওয়া একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না।
বুধবার দুপুরে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলের সংসদীয় দলের বৈঠক হয়েছে। সংসদের চলতি অধিবেশনে তৃণমূল কোন কোন বিষয়ে জোর দেবে তা আগেই ঠিক করে দিয়েছেন দলনেত্রী। নেত্রীর দেখানো পথেই এদিন আলোচনা হয়েছে। ঠিক হয়েছে শুধু আদানি আদানি করে সংসদ অচল করে রাখলে তাতে বিজেপিরই সুবিধা। তৃণমূল সূত্র বলছে, সংসদ অচল করে রাখলে মানুষের ইস্যু তুলে ধরার জায়গা পাওয়া যায় না। তাছাড়া শুধু একটা দুর্নীতির ইসু তুলে জনমানসে প্রভাব ফেলা যাবে না।
তাই সংসদ অধিবেশনে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, বাংলার বঞ্চনা, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার পাওনা টাকা আটকে রাখা, সার-সংকট, মণিপুরে হিংসা-সহ উত্তর-পূর্বের সমস্যার কথা সংসদের উভয় কক্ষে কীভাবে তুলে ধরতে হবে, তা নিয়ে এদিন আলোচনা হয়েছে। ঠিক হয়েছে, ধর্ষণ রুখতে যে অপরাজিতা বিল পাশ হয়েছে, সেটা পাশ করানোর দাবিতেও সংসদে আওয়াজ তুলতে চায় তৃণমূল। আদানি ইস্যু নিয়ে কংগ্রেস অধিবেশন তোলপাড় করার রণকৌশল নিলেও তৃণমূল প্রতিবাদের পাশাপাশি অধিবেশন চলুক, এটাই চাইছে। অধিবেশন না চললে তৃণমূলের যে সমস্ত নিজস্ব বিষয় রয়েছে, তা সংসদে তুলে ধরার সুযোগ মিলবে না। আর তা কোনওমতেই চাইছে না তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
এদিনও কংগ্রেসের ডাকা ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দেননি তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি। আসলে মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় কংগ্রেসের ধাক্কার পর তৃণমূল স্পষ্ট করে দিতে চাইছে, একপাক্ষিকভাবে কংগ্রেসের এজেন্ডায় চলতে তারা রাজি নয়। তৃণমূলের তরফে বলা হচ্ছে, সংসদে বিজেপিকে কোনওরকমভাবে জমি ছাড়ার প্রশ্ন নেই। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। কৌশল আলাদা হতেই পারে। তবে সংসদ অচল করে রাখতে চায় না তৃণমূল।