shono
Advertisement

TMC in Tripura: থানায় অভিষেকদের অবস্থান বিক্ষোভের মামলায় ভিডিও রেকর্ড চাইল আদালত

এই মামলায় এদিন হস্তক্ষেপ করেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি।
Posted: 12:04 PM Aug 18, 2021Updated: 01:07 PM Aug 18, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিপুরায় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া এবং থানায় অবস্থান বিক্ষোভের অভিযোগে এফআইআর করা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ (Abhishek Banerjee) পাঁচ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এবং যুবনেতাদের গ্রেপ্তারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুবল ভৌমিকের তরফে ত্রিপুরা হাই কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। বুধবার সেই মামলায় অনেকটাই স্বস্তিতে তৃণমূল। আদালতের প্রধান বিচারপতি এই মামলায় হস্তক্ষেপ করলেন। চাওয়া হল ওই ঘটনার ভিডিও রেকর্ডও। পাশাপাশি এও স্পষ্ট করে দেওয়া হল, পরবর্তী শুনানির আগে পুলিশ কোনও ফাইনাল রিপোর্ট দিতে পারবে না।

Advertisement

গত ৭ আগস্ট দুপুরে দলীয় এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় ত্রিপুরায় তৃণমূলের যুবনেতৃত্বকে রাস্তায় আটকানো হয়। সেখানে দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তদের উপর হামলা চলে বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে যায় সুদীপ রাহার, কানে আঘাত পান জয়া দত্ত। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। কার্যত গোটা ত্রিপুরা (TMC in Tripura) অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এরপরই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হলে খোয়াই থানায় অবস্থানে বসেন অভিষেক, কুণাল ঘোষরা। ধৃতদের মুক্তির দাবি তোলেন। কিন্তু জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হওয়ায় ধৃত নেতাদের তোলা হয় আদালতে। সেই সময়ও থানাতেই বসেছিলেন অভিষেক। সেখান থেকেই নজর রাখছিলেন পরিস্থিতির উপর।

[আরও পড়ুন: Taliban Terror: এক বছরের মধ্যেই ভারতে হামলা চালাবে চিন-পাকিস্তান-তালিবান, হুঁশিয়ারি BJP সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর]

দলের নেতারা জামিন পাওয়ার পর ক্ষোভ উগড়ে দেন ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। একইভাবে জয়া দত্ত, দেবাংশু ভট্টাচার্যও ত্রিপুরা সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এভাবে তাঁদের রোখা যাবে না। সেদিন থানায় তৃণমূলের অবস্থানের জেরে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছিল ত্রিপুরা পুলিশ। 

অভিষেকের পাশাপাশি FIR করা হয়েছে তৃণমূল নেত্রী দোলা সেন, মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং সদ্য শাসক শিবিরে যোগ দেওয়া সুবল ভৌমিকের বিরুদ্ধে। এরপরই যুবনেতাদের গ্রেপ্তারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুবল ভৌমিকের তরফে আদালতের দ্বারস্থ হন আবেদনকারী। এই মামলায় প্রধান বিচারপতি দেবাংশুদের উপর হামলা এবং খোয়াই থানায় অভিষেকদের সঙ্গে পুলিশের বচসার ভিডিও চেয়েছেন। দেবাংশুদের গ্রেপ্তারির কেস ডায়েরিও তলব করা হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়, জামিনযোগ্য মামলায় কেন এতক্ষণ আটক? পাশাপাশি জানিয়ে দেন, ২ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে পর্যন্ত পুলিশ কোনও ফাইনাল রিপোর্ট দিতে পারবে না। 

[আরও পড়ুন: Afghan মহিলাদের জন্য বাধ্যতামূলক নয় বোরখা! পরতেই হবে হিজাব, ঘোষণা তালিবানের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement