মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: ভয়াবহ তুষারপাতের ফলে নামা ধসে ২ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হল সিয়াচেন (Siachen) হিমবাহে। লাদাখ সেনা সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। যেখানে তুষারপাত হয়েছে সেখানে আরও জওয়ান ছিলেন। তবে তাঁরা অক্ষত আছেন। তাঁদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল? সেনা সূত্র জানাচ্ছে, দুপুর ১টা নাগাদ সিয়াচেনের হানিফ সেক্টরে টহল দিচ্ছিল ওই সেনার দল। দলটির সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন কুলিও। আচমকাই ভয়াবহ তুষারপাত শুরু হলে বরফের ধস নেমে আসে। ফলে ওখানে আটকে পড়েন সকলে। উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকলকে উদ্ধার করে। সকলকেই নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হলেও পরে তুষারপাতের ফলে আহত দুই সেনা জওয়ান মারা যান।
[আরও পড়ুন: পণ্যবাহী বিমানে নিষেধাজ্ঞা চিনের, করোনা আবহে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পেতে সমস্যায় ভারত]
আবহাওয়া সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় সিয়াচেন হিমবাহে সেনামৃত্যুর ঘটনা বহুবারই ঘটতে দেখা গিয়েছে। কেবল এই মাসেই এমন দুর্ঘটনা ঘটল তৃতীয় বার। এর আগে গত ১৪ এপ্রিল তুষারধসের ফলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান এক সেনা অফিসার।
তুষারপাতের কবলে কেবল টহলরত সেনারাই নয়, সেনা পোস্টগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে ২০১৬ সালে উত্তর সিয়াচেনে সেনাবাহিনীর একটি শিবিরে তুষারপাতের ধাক্কায় দশজন সেনা বরফের ভিতরে তলিয়ে যান।
প্রসঙ্গত, কারাকোরাম পর্বতমালার অন্তর্গত সিয়াচেন হিমবাহ ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত। এটিই পৃথিবীর উচ্চতম সামরিক ক্ষেত্র। এমন উচ্চতায় তুষারপাত ও ভূমিধস খুবই সাধারণ ঘটনা। শীতের কামড়ে তাপমাত্রা মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও নেমে যায়। এমন প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করেই এখানে জীবনধারণ করতে হয় মোতায়েন জওয়ানদের। ৭৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই হিমবাহে সারা বছরই প্রহরারত থাকেন ভারতীয় সেনারা। নিচে নামার কোনও উপায় থাকে না। কেননা সেক্ষেত্রে শত্রুদেশ এসে দখল করে নিতে পারে এই হিমবাহ।