shono
Advertisement

চাপে পড়ে সুমতি! হিন্দির মতোই অন্য আঞ্চলিক ভাষাতেও উচ্চশিক্ষায় জোর কেন্দ্রের

‘পাঠ্যবই’ নিয়ে তৈরি হয়েছে ইউজিসি কমিটি।
Posted: 10:08 AM Dec 09, 2022Updated: 10:08 AM Dec 09, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ পাঠ‌্যবই ইংরাজিতে। কিন্তু ভবিষ‌্যতে যাতে ছাত্রছাত্রীরা স্নাতক স্তরের বিজ্ঞান, বাণিজ‌্য, কলা বিভাগের বিষয়গুলি আঞ্চলিক ভাষায় বই পেতে পারে, সেজন‌্য একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ‌্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা UGC। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন ইউজিসির পদস্থ আধিকারিকরা।

Advertisement

ওই বৈঠকে ছিলেন ইউজিসির চেয়ারপার্সন এম জগদীশ কুমার। স্নাতক স্তরের ইংরেজি বইগুলি যাতে তেলুগু, বাংলা, মারাঠি, পাঞ্জাবি, গুজরাটি ভাষায় অনুবাদ করে দ্রুত পাঠ‌্যবইগুলি ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া যায়, সে বিষয়ে ভারচুয়াল বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি, স্নাতকোত্তর স্তরের ক্ষেত্রেও যাতে আঞ্চলিক ভাষায় বইগুলি পাওয়া যায়, সে ব‌্যাপারেও বৈঠকে কথা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ঘরে-বাইরে বিরোধিতা সামলেও গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী জাদেজার স্ত্রী]

উল্লেখ্য, গত অক্টোবরেই মধ্যপ্রদেশে হিন্দি ভাষায় লেখা ডাক্তারি বই প্রকাশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সেই সময়ই তাঁকে বলতে শোনা যায়, “দেশের শিক্ষাক্ষেত্রের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। আগামিদিনে যখনই ইতিহাস লেখা হবে, আজকের দিনটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বিজেপির শিবরাজ সিং চৌহান দেশের প্রথম বার হিন্দিতে ডাক্তারি পড়ানো শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাকে মান্যতা দিয়েছেন। জাতীয় শিক্ষা নীতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদি মাতৃভাষায় শিক্ষায় বিশেষ জোর দিয়েছেন। এটা একটা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।” এ প্রসঙ্গে টুইটও করেন শাহ। ওই টুইটটি উদ্ধৃত করে আরেকটি টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লেখেন, “ডাক্তারি শিক্ষাক্ষেত্রে এই উদ্যোগ দেশে ইতিবাচক বদল আনবে। তার ফলে লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া নিজেদের ভাষায় পড়তে পারবেন। তাঁরা আরও অনেক সুযোগ পাবেন।” 

সাম্প্রতিক সময়ে বারবার হিন্দি আগ্রাসনের অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে একটি সুপারিশ জমা পড়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির রিপোর্টে পরিষ্কার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, রাষ্ট্রসংঘে ভারতের সরকারি ভাষা হোক হিন্দি। আবার সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় থেকে আইআইটি ও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে শিক্ষাদানের ভাষাও হিন্দিই হোক। তবে এবার জানা গেল, শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার কথা ভাবতে চাইছে সরকার। হিন্দি আগ্রাসনের অভিযোগে দেশজুড়ে শুরু হওয়া প্রতিবাদেই কি অন্য আঞ্চলিক ভাষাকেও সমান গুরুত্ব দেওয়ার পথে কেন্দ্র? প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলের।

[আরও পড়ুন: তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত মান্দস, জারি লাল সতর্কতা! কী প্রভাব রাজ্যে?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement