স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: হাইভোল্টেজ দর কষাকষি শেষে মুকুল ওয়াসনিকের বাসভবন থেকে হাসি মুখে বেরিয়ে এলেন কংগ্রেস (Congress) , শিব সেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) (Shiv Sena), এনসিপি (NCP) (শরদ গোষ্ঠী) নেতারা। ৪৮ আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্রে কোন দল ক’টি আসনে প্রার্থী দেবে, তা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও প্রত্যেকে দাবি করলেন বৈঠক হয়েছে ইতিবাচক।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি (BJP) ও তার শরিকদের বিরুদ্ধে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থীই দেবে ‘ইন্ডিয়া’ (INDIA Alliance) তথা মহা বিকাশ আগাড়ি। প্রকাশ্যে কেউ কিছু না বললেও শোনা যাচ্ছে, আপাতত হওয়া রফা অনুযায়ী শিব সেনা (উদ্ধব) ও কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ২০টি করে আসনে। এনসিপি (শরদ) ৬টি আসনে প্রার্থী দেবে। বঞ্চিত বহুজন আগাড়িকেও নেওয়া হচ্ছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে। তাদের দেওয়া হতে পারে দু’টি করে আসন।
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতার রাস্তায় মদ্যপের তাণ্ডব, ভ্যানচালককে ধাক্কার পর গাড়ির উপর নাচ যুবকের!]
শুরু থেকেই উদ্ধব শিবির দাবি করে এসেছে তারা ২৩টি আসনে প্রার্থী দিতে চায়। একই দাবি ছিল কংগ্রেসের। গত লোকসভা নির্বাচনে সংযুক্ত শিব সেনা ও এনসিপি পেয়েছিল যথাক্রমে ১৮ ও ৪টি আসন। কংগ্রেস জিতেছিল একটিতে। বিজেপির ২৩ সাংসদ জিতে এসেছিলেন ২০১৯ সালে। মিম ও নির্দলের একজন করে সাংসদ জিতেছিলেন। কিন্তু সেবার বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল শিব সেনা। পরবর্তী সময়ে শিব সেনা ও এনসিপি, দু’দলেই ভাঙন ধরেছে। শিব সেনা (শিণ্ডে) ও এনসিপি (অজিত)-র একটি করে অংশ বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার চালাচ্ছে। দুই দলেরই অন্য অংশ কংগ্রেসের সঙ্গে ‘ইন্ডিয়া’ শরিক।