তৃতীয় দফায় নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট। রেকর্ড গড়ে বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। বাজেটে কি করছাড় মিলবে? কমবে বিমার খরচ? বাংলার জন্যই বা কী বরাদ্দ করবে কেন্দ্র সরকার? দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কি দাওয়াই দেবেন নির্মলা? মুদ্রাস্ফীতি কমাতে কী পদক্ষেপ করবে কেন্দ্র? রইল বাজেটের প্রতি মুহূর্তের লাইভ আপডেট।

বেলা ১২:৪০ 'অসাধারণ বাজেট' পেশ করার জন্য নির্মলা সীতারমণের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়াও স্বাগত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাজেটকে।
বেলা ১২:১০ ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড়। বেতনভুকদের জন্য বড় স্বস্তি। বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে দিতে হবে না কর। তবে এই সুবিধা পাবেন নতুন কর কাঠামোর অন্তর্ভুক্তরা। তবে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্র যেমন ক্যাপিটাল গেইনস এর আওতায় থাকছে না। বার্ষিক ২৪ লক্ষের বেশি আয়ে ৩০ শতাংশ কর। ১ ঘণ্টা ১৬ মিনিটে বাজেট ভাষণ শেষ করলেন অর্থমন্ত্রী।
বেলা ১২ টিডিএসে সিনিয়র সিটিজেনদের করছাড়ের পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ১ লক্ষ টাকা। হাউস রেন্টে ৪ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা বাড়ল টিডিএস ডিডাকশন (Threshold)। টিসিএস ৭ লক্ষ থেকে বেড়ে ১০ লক্ষ। বাড়ল আয়কর রিটার্নের সময়ও। আয়কর ছাড়ের ঘোষণার আগে তেলুগু কবিতা শোনালেন অর্থমন্ত্রী।
সকাল ১১:৫০ ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধে পুরোপুরি শুল্ক ছাড়। ৬টি জীবনদায়ী ওষুধে ৫ শতাংশ শুল্ক কমল পাঁচ শতাংশ। ফলে জীবনদায়ী ওষুধের দাম কমবে। এছাড়াও চর্মজাত পণ্য, মোবাইলের যন্ত্রাংশ, টিভি, সিফুডেও কমছে শুল্ক। ব্যাটারিতেও শুল্ক কমানোর ঘোষণা। ফলে দাম কমতে চলেছে ফ্রোজেন মাছ। সস্তা হবে চামড়ার ব্যাগ, জুতোও। ইলেকট্রনিক ব্যাটারির শুল্ক কমায় সস্তা হবে বৈদ্যুতিন গাড়ি। দেশে তৈরি পোশাকের দাম কমবে। সস্তা হবে মোবাইল।
সকাল ১১:৪০ বিমাক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ। এতদিন ৭৪ শতাংশ ছিল বিদেশি বিনিয়োগ। আগামী সপ্তাহে নতুন আয়কর বিল পেশ সংসদে। কেওয়াইসির সরলীকরণ। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো মজবুত করতে রাজ্যগুলিকে দেড় লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত সুদহীন ঋণ। বিদেশি বিনিয়োগ টানতে নীতি সরলীকরণ। রপ্তানি বৃদ্ধিতে এবং 'নন ট্যারিফ' বিষয়ে রপ্তানিকারীদের সুবিধা দিতে বিশেষ পরিকাঠামো। রাজস্ব ঘাটতি ৪.৮ শতাংশ অর্থাৎ আয়ের চাইতে খরচ বাড়ল ৪.৮ শতাংশ। বাজার থেকে ঋণ নেবে ১১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। ক্ষুদ্র আমানত বেচে সরকার আরও ১৪ লক্ষ কোটি তুলবে।
সকাল ১১:৩৫ বিহারের জন্য ৪টি বিশেষ গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর। পাটনা এয়ারপোর্টের সংস্কার। দেশের নানা প্রান্তে হোমস্টে গুলির উন্নতিতে জোর। পর্যটন ক্ষেত্রে মুদ্রা লোন। ৫০টি পর্যটনকেন্দ্রকে ঢেলে সাজানো হবে। পাটনা আইআইটির সম্প্রসারণের ঘোষণা।
সকাল ১১:৩০ পরমাণু শক্তি উৎপাদনে বড় ঘোষণা। লক্ষ্য ১০০ গিগাওয়াট পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন। মডিউলার পরমাণু চুল্লি নির্মাণে ২০ হাজার কোটি বিনিয়োগ। পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেসরকারি সহায়তা। ১২০টি নতুন শহর আসবে উড়ান প্রকল্পের আওতায়। চামড়ার জুতো শিল্পে সহায়তা। প্রত্যেক বাড়িতে ট্যাপ ওয়াটার।
সকাল ১১:২৫ শিক্ষা ক্ষেত্রে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের জন্য ৫০০ কোটির বিনিয়োগ। তিনটি এআই এক্সেলেন্স সেন্টার। তিন বছরের মধ্যে সমস্ত জেলা হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসা কেন্দ্র। ৫ বছরে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ১০ হাজার আসন বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি। অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা। হকারদের জন্য ইউপিআই প্রযুক্তি-সহ ক্রেডিট কার্ড। সরকারি পোর্টালে বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত প্রায় ১ কোটি অস্থায়ী কর্মীর জন্য পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করা হবে। আনা হবে সামাজিক সুরক্ষার আওতায়।
সকাল ১১:২০ বিহারের জন্য ফুড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রথমবার এই ইনস্টিটিউট। MSME (ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প) বৃদ্ধিতে নতুন ঋণ প্রকল্পের ঘোষণা। লাভান্বিত হবেন তফসিলি জাতি-উপজাতি। সহজ শর্তে ঋণদান প্রক্রিয়া শুরু হবে। ৫ কোটি থেকে ঋণের অঙ্ক বাড়ল ১০ কোটিতে। খেলনা হাব তৈরির ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর। আইআইটিতে পড়ুয়াদের জন্য আসন বৃদ্ধি। গ্রামের সমস্ত সরকারি স্কুলে ব্রডব্যান্ড।
সকাল ১১:১৭ ভারতীয় ডাক বিভাগের উন্নতিতে বিশেষ নজর। বাজেট ভাষণ শুরু হতেই ওয়াকআউট বিরোধী সাংসদদের একাংশের।
সকাল ১১:১৫ ডাল উৎপাদনে আগামী ৬ বছরের মধ্যে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার 'মিশন' বাজেটে। স্টার্টআপের ক্ষেত্রে ঋণের অঙ্ক বেড়ে ১০ কোটি পর্যন্ত।
সকাল ১১:১০ বাজারে চাহিদা বাড়ানোয় বাড়তি নজর বাজেটে। বিহারের জন্য মাখানা বোর্ড। মাখানা উৎপাদন আরও বাড়াতে জোর দেওয়া হবে। সেরাজ্যের কৃষকদের বাড়তি সুবিধা। কৃষিক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারতের দিকে নজর। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে ঋণের পরিমাণ ৩ লক্ষ থেকে বেড়ে ৫ লক্ষ।
সকাল ১১:০৬ পরিকাঠামো উন্নয়ন, মধ্যবিত্তের দিকে নজর, উৎপাদন শিল্প, কৃষিক্ষেত্রের মতো বিষয়ে অগ্রাধিকার। নির্মলার বাজেটে লক্ষ্য, 'জিরো পোভার্টি'। মেক ইন ইন্ডিয়ায় বাড়তি গুরুত্ব। গবেষণা ও উন্নয়ন, ক্ষুদ্রও মাঝারি শিল্পে নজর, ভূমিহীন চাষিদের গুরুত্বের কথা বাজেটে বলেন নির্মলা। ধনধান্য কৃষি যোজনায় লাভান্বিত হবেন ১ কোটি ৭০ লক্ষ কৃষক। যুব এবং মহিলাদের উন্নয়নে নজর। ৭০ শতাংশ মহিলাকে আর্থিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রাখার লক্ষ্য সরকারের।
সকাল ১১ সংসদে অষ্টমবার বাজেট পেশের ভাষণ শুরু করলেন নির্মলা সীতারমণ। প্রবল হট্টগোল বিরোধীদের। শান্ত থাকতে অনুরোধ করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। 'মর্যাদা বজায় রাখতে হবে', বার্তা স্পিকারের। বিকশিত ভারত গড়বে বাজেট, শুরুতেই বার্তা নির্মলার।
সকাল ১০:৪৫ বাজেট পেশের আগে সংসদে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সকাল ১০:৩০ বাজেট পেশের আগে বৈঠকে কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট। সেখানে পাশ হয়ে গেল কেন্দ্রীয় বাজেট।
সকাল ৯:৪৫ রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে পার্লামেন্টে পৌঁছলেন অর্থমন্ত্রী। সকাল ১১টা থেকে বাজেট পেশ করবেন তিনি।
সকাল ৯:১৫ রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন অর্থমন্ত্রী। সঙ্গী কেন্দ্রীয় অর্থসচিব পঙ্কজ চৌধুরী। ২০২৫-২০২৬ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করবেন নির্মলা। তার আগে শুভেচ্ছা জানিয়ে অর্থমন্ত্রীকে দই-চিনি খাইয়ে দিলেন রাষ্ট্রপতি।
সকাল ৯ চিরাচরিত 'বহি-খাতা' নয়, লাল রঙের ট্যাব থেকে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। নর্থ ব্লক থেকে বেরিয়ে তিনি রওনা দিলেন রাষ্ট্রপতি ভবনের উদ্দেশে।
সকাল ৮:৫০ টানা অষ্টমবার বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। বিহারের পদ্মশ্রীপ্রাপকের হাতে তৈরি মধুবনী শাড়ি পরে তিনি পৌঁছে গেলেন নর্থ ব্লকের অর্থমন্ত্রকে।