সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনওরকম ঢিলেমি নয়। কৃষি আইন (Farm laws) প্রত্যাহার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে ফেলতে চায় কেন্দ্র। সূত্রের খবর, বুধবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা করা হবে। সেই বৈঠকেই এই আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ছাড়পত্র দিয়ে দেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
শুক্রবারই দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ঘোষণা করেছেন, সরকার বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সেই আশ্বাসবাণীতেও ভরসা রাখতে পারছেন না আন্দোলনকারী কৃষকরা। কৃষকদের যৌথ সংগঠন সংযুক্ত কিষান মোর্চা (Samyukta Kisan Morcha) জানিয়ে দিয়েছে, শুধু মৌখিক আশ্বাস যথেষ্ট নয়। যতদিন না সরকার সংসদে বিল এনে সরকারিভাবে আইন প্রত্যাহার করছে, ততক্ষণ তাঁরা আন্দোলন স্থল ছাড়বেন না। শুধু তাই নয়, কৃষি আইন প্রত্যাহারের পাশাপাশি আরও কিছু দাবি কৃষকদের রয়েছে। সেগুলিও মানতে হবে সরকারকে। যার ফলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও প্রত্যাহার হয়নি কৃষক বিক্ষোভ।
[আরও পড়ুন: BSNL এবং MTNL-এর প্রায় হাজার কোটির সম্পত্তি বেচার পথে কেন্দ্র, প্রবল আপত্তি কর্মীদের]
বিল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছিলেন, সংসদের আগামী অধিবেশনেই সরকার এই তিন বিতর্কিত আইন প্রত্যাহার করার আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করবে। কৃষকদের উদ্দেশে তাঁর অনুরোধ ছিল,”এবার আপনারা ঘরে ফিরুন। মাঠে নামুন। চলুন সবকিছু নতুন করে শুরু করা যাক।” কিন্তু কৃষকরা প্রধানমন্ত্রীর সেই ‘ঘরে ফেরার’ অনুরোধ রাখেননি। বরং তাঁরা পালটা চাপ দেওয়ার পন্থা নিয়েছে। তাই বিল প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে ফেলতে চাইছে কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: আন্দোলনে মৃত ৭৫০ কৃষকের পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা করে অনুদান তেলেঙ্গানা সরকারের, চাপে কেন্দ্র]
সেকারণেই তড়িঘড়ি বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, ওই বৈঠকের শুরুতেই কৃষি আইন প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাশ করানো হবে। আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Winter Session)। সেই অধিবেশনের একেবারে শুরুর দিকেই মন্ত্রিসভার সেই সিদ্ধান্ত পাশ করিয়ে নেওয়া হবে। সব ঠিক থাকলে চলতি মাসের শেষেই সরকারিভাবে বিলুপ্ত হয়ে যাবে তিনটি কৃষি আইন। আসলে, সংসদের অধিবেশনের আগে বিরোধীদের কার্যত ইস্যুহীন করে দিতে চাইছে সরকার। সেকারণেই তড়িঘড়ি প্রস্তাব পাশ করানোর চেষ্টা করছে সরকার।