shono
Advertisement

Breaking News

প্রথম রাজ্য হিসাবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি উত্তরাখণ্ডে! বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকছেন মুখ্যমন্ত্রী

কী কী থাকছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির খসড়ায়?
Posted: 02:48 PM Nov 11, 2023Updated: 02:52 PM Nov 11, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘোষণাটা হয়েছিল ২০২২ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই। ভোটে জিতে আসার পর জোরকদমে কাজ শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। অবশেষে প্রতিশ্রুতিমতোই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার পথে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার। দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে উত্তরাখণ্ড।

Advertisement

আগামী সপ্তাহেই উত্তরাখণ্ড বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ধামি। সরকারি সূত্রের খবর, বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে তৈরি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) সংক্রান্ত বিল পাশের উদ্দেশ্যেই ওই অধিবেশন ডাকা হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পাশ হয়ে যাবে। এবং দেবভূমিতেই প্রথম সব ধর্মের জন্য একরকম সামাজিক আইন চালু হয়ে যাবে। সূত্রের খবর, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির যে খসড়া তৈরি হয়েছে, তাতে বহুবিবাহ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্ককে আইনিভাবে নথিভুক্ত করার বিধান রাখা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: এবার গ্র্যামির দৌড়ে মোদি! বিশ্বমঞ্চে মনোনীত প্রধানমন্ত্রীর গান]

বিজেপি বলছে, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হলে সামাজিক সৌহার্দ্য বজায় থাকবে। লিঙ্গবৈষম্য দূর হবে। মহিলারা শক্তিশালী হবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এর ফলে সংবিধানের (Constitution of India) মূল ভাবধারা বজায় থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী ধামি আগেই বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টও বারবার অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে সওয়াল করেছে। সেই রায় মতোই তাঁর সরকার পদক্ষেপ করছে।

[আরও পড়ুন: অঙ্কিত-কর্তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে কলকাতা পুলিশই, দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হন দীপেশ-হীতেশ]

‘একটি রাষ্ট্রে দুই প্রধান, দুই নিশান ও দুই বিধান থাকতে পারে না।’ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের এই বাক্যবন্ধ বিজেপির নীতি নির্ধারণে স্পষ্ট। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এক দেশ, এক আইনের পক্ষে সওয়াল করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সরকার। তবে বিরোধীদের প্রবল বাধায় তা এখনও কার্যকর হয়ে ওঠেনি। এক দশক বাদে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে ধীরে ধীরে দেশজুড়ে UCC চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। মনে করা হচ্ছে, উত্তরাখণ্ডে এই আইন চালু করে কেমন প্রতিক্রিয়া হয় সেটা দেখতে চাইছে গেরুয়া শিবির। হাওয়া ভালো বুঝলে আগামী দিনে অন্যান্য রাজ্যেও একই পথে হাঁটতে পারে বিজেপি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement