নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: অবশেষে বিরোধীদের চাপের মুখে পড়ে ওয়াকফ সংক্রান্ত সংসসদীয় যৌথ কমিটির সময়সীমা বাড়াল। বুধবার কমিটির বৈঠকে, তুমুল আপত্তি জানিয়ে বিরোধী সাংসদরা ওয়াক আউট করেন। তার পরেই বিরোধীদের দাবি মেনে নিয়ে কমিটির রিপোর্ট দেওয়ার দিনক্ষণ পিছানোর প্রস্তাবে রাজি হন কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল। আগামী শুক্রবারেই ওয়াকফ সংশোধনী বিলের উপর কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল।
সেইমতোই এদিনের বৈঠকের শুরুতেই পাল বক্তব্য রাখতেই তীব্র আপত্তি জানান কমিটিতে থাকা বিরোধী সাংসদরা। এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন তৃণমূলের লোকসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সবার কথায় শোনা হয়নি, আইনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খুঁটিয়ে আলোচনায় হয়নি তার আগেই কীভাবে রিপোর্ট জমা পড়তে পারে তা নিয়ে সরব হন কল্যাণ। সঙ্গে যোগ দেন বিরোধী দলের অন্যান্য সাংসদরাও। সরকার বিল নিয়ে ছেলেখেলা করায় চাইছে অভিযোগ জানিয়ে বিরোধী সাংসদরা বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করেন। পরে জগদম্বিকা পাল সুর নরম করায় তারা আবার বৈঠকে যোগ দেন। এপ্রসঙ্গে কল্যাণ জানিয়েছেন, "পরশুদিন রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আলোচনায় এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। বিরোধীরা ওয়াক-আউট করার পরে চেয়ারম্যান সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাবে রাজি হন। তারপর আমরা আবার বৈঠকে যোগ দিই।"
প্রসঙ্গত, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করে সোমবার দিনই কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়ার দিনক্ষণের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করেছিলেন কল্যাণ-সহ বিরোধী সাংসদরা। সূত্রের খবর তাতে কল্যাকে মেয়াদ বৃদ্ধির আশ্বাসও দিয়েছিলেন বিড়লা। বৈঠকের পর জগদম্বিকা পাল জানিয়েছেন, "আমাদের এখনও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের আমন্ত্রণ জানাতে এবং শুনতে হবে। ছয়টি রাজ্যের সঙ্গে ওয়াকফ বোর্ডের বিরোধ রয়েছে। আবার ভারত সরকারের সঙ্গে ১২৩টি সম্পত্তি নিয়ে ওয়াকফ বোর্ডের বিরোধ রয়েছে। তাতে আমাদের মনে হয়েছে, সময়সীমা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।" কমিটির সদস্য অপরাজিতা সারঙ্গী জানিয়েছেন, লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে তা বাজেট অধিবেশনের শেষদিনে করার জন্য অনুরোধ করা হবে।"