সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মন্দিরের সামনে নেহাতই বসানো ছিল ডাস্টবিনটি। চেহারা ক্যাঙারুর। পেটের গহ্বরে আবর্জনা ফেলার স্থান। পবিত্র চত্বর যাতে নোংরা, ময়লায় ভরে না যায় তাই সেটি বসানো। কার্যকারিতা বলতে এটুকুই। কিন্তু তা যে দেবতা বা দেবতার বাহনজ্ঞানে পূজিত হবে কে জানত! মন্দিরে আসা এক মহিলা রীতিমতো ডাস্টবিনের কপালে সিঁদুর পরিয়ে, মাথায় জল ঢেলে সেটির পুজো করলেন। ভিডিও দেখে তাজ্জব দেশবাসী।
[ ‘মানুষের যন্ত্রণা বোঝেননি বলেই নোট বাতিলের বর্ষপূর্তি উদযাপন মোদির’ ]
এমনিতে পশুদের যে দেবতাজ্ঞানে পুজো করা হয় না তা নয়। এদেশে দেবদেবীদের পাশাপাশি তাঁদের বাহনদেরও আলাদা গুরুত্ব আছে। বাহন নির্বাচন ও তাদের পুজো করার নেপথ্যে আলাদা কাহিনিও আছে। ফলে রীতিমতো মন্ত্রপাঠ করেই বাহনদের আবাহনের চল আছে। বহু মন্দিরেই দেবতার বাহন যে পশু, তার মূর্তি সামনে রাখা হয়। বিশেষত শিব মন্দিরের ক্ষেত্রে দেখা যায়, গর্ভগৃহে থাকে শিবলিঙ্গ। বাহন বৃষটি থাকে বাইরে। তাকেই রীতিমতো পুজো করে ভক্তরা। এক্ষেত্রেও মহিলা ভক্তটি ঠিক সেরকমই ভেবেছিলেন। ভেবেছিলেন, দেবতার বাহনটি বোধহয় মন্দিরের বাইরে। তাই জল ঢেলে, সিঁদুর পরিয়ে ভক্তিভরে পুজোপাঠ চলল।যোগ দিলেন অপর এক মহিলাও।
[ পর্ন ছবি দেখিয়ে ভাইঝিকে লাগাতার ধর্ষণ, শরীরে মোমের ছ্যাঁকা ]
কিন্তু দেশের দেবতাদের বাহন সাধারণভাবে দেশের পশুরাই হয়ে থাকে। বাঘ-সিংহ-বৃষ থেকে ময়ূর কিংবা প্যাঁচা-এসবই চোখে পড়ে। এমনকী ইঁদুর বাবাজিও আছে। তাই বলে ক্যাঙারু। ক্যাঙারুকে কী করে মহিলা দেবতার বাহন ভাবলেন তাও ভারতবর্ষে? উত্তর দু’টোই। হয় মহিলা বুঝতে পারেননি যে ওটা ক্যাঙারু। নয় ক্যাঙারুর বাস যে অস্ট্রেলিয়ায় তা তিনি জানেন না। তবে যাই হোক না কেন, কথায় যে বলে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু। এ ভিডিও যেন তা আরও জোর দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।
This is a scene outside a temple in Bihar when a dustbin was kept for the first time. #viaWA pic.twitter.com/zUUOOSaUTg
— Aditii
(@Sassy_Soul_) October 28, 2017
The post দেবতার বাহন ভেবে ‘ক্যাঙারু ডাস্টবিন’কে ভক্তিভরে পুজো মহিলার appeared first on Sangbad Pratidin.