সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটের দলিত বিধায়ক জিগনেশ মেবানিকে চেনেনই না বলে দাবি করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) নিয়ে আপত্তিকর ট্যুইট পোস্টের অভিযোগে কাঠগড়ায় ওঠা জিগনেশের বিরুদ্ধে অসমের কোকরাঝাড়ে এফআইআর হয়েছে।
সোমবার গভীর রাতে তাঁকে গুজরাটের পালানপুর থেকে গ্রেপ্তার করে গুয়াহাটি নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে গাড়িতে কোকরাঝাড়। নির্দল বিধায়কের বিরুদ্ধে ফৌজদারি চক্রান্ত-সহ নানা অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। এ প্রসঙ্গেই হিমন্তের প্রতিক্রিয়া, “আমি জানিই না উনি কে! নির্দিষ্ট কিছু জানা নেই।” জিগনেশের গ্রেপ্তারি কি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রতিফলন? কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের তেমনই অভিযোগ। যদিও হিমন্তের মন্তব্য, “আমি যখন ওঁকে চিনিই না, তখন প্রতিহিংসার রাজনীতি আসছে কোথা থেকে?”
[আরও পড়ুন: হঠাৎ ‘রাজু ও চল্লিশ চোর’ নামের কমিকস প্রকাশ করল RBI, কেন জানেন?]
জিগনেশ (Jignesh Mevani) দলিত নেতা হিসাবে বিরাট সাড়া ফেলেছিলেন গুজরাটে। গত বছরের অক্টোবরে তাঁর কংগ্রেসে যোগদানের জল্পনা প্রবল হয়ে উঠেছিল, চলতি বছরের শেষে নির্ধারিত গুজরাট বিধানসভা ভোটের আগে যা কংগ্রেসকে অক্সিজেন জোগাবে বলে মনে করছিল রাজনৈতিক মহল। যদিও শেষ পর্যন্ত জিগনেশ ‘টেকনিকাল কারণে’ কংগ্রেসে (Congress) যোগ দেননি। তবে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের টিকিটেই লড়বেন বলে জানান। প্রত্যাশিত ভাবেই রাহুল গান্ধী-সহ (Rahul Gandhi) কংগ্রেস নেতারা তীব্র প্রতিবাদ করেছেন জিগনেশের গ্রেফতারির। রাহুল প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে ট্যুইট করেছেন, মোদিজি, রাষ্ট্রযন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে বিরুদ্ধ মত দমনের চেষ্টা করে দেখতে পারেন, তবে সত্যকে বন্দি করতে পারবেন না কখনও। অসম কংগ্রেস জিগনেশের জামিনের ব্যাপারে ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়ে আইনি পদক্ষেপ শুরু করেছে। জিগনেশের জামিন না হলে তারা বিক্ষোভে নামার কর্মসূচিও নিয়েছে। যদিও হিমন্ত তাকেও খোঁচা দিয়ে বলেছেন, কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতেও এধরনের বিষয়কে (এই ধরনের টুইটকে) ভাল চোখে দেখা হয় না, এমন অজস্র নজির আছে।
[আরও পড়ুন: অর্থনীতিতে জোর, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চালু হতে চলেছে আরও ৪টি সীমান্তহাট]
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালাও টুইট করেছেন, স্বৈরাচারী শাসক আতঙ্কিত, মহারাজা বুঝি ভীত। রাতের অন্ধকারে জিগনেশ মেবানির গ্রেপ্তারির মধ্যে একটা বার্তা রয়েছে, এটা আতঙ্কের লক্ষণ। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার ডাক দেওয়া, প্রধানমন্ত্রীকে ধর্মের নামে মানুষকে লড়ালড়ি করতে না দেওয়ার আবেদন করাটাও এখন অপরাধ? প্রশ্ন করাও কি অপরাধ?