shono
Advertisement

অবিবাহিত মৃত যুবকের বীর্যে অধিকার কার, হাই কোর্টে গড়াল মামলা

২০২০ সালের শেষে মারা যান ওই যুবক।
Posted: 04:47 PM Feb 06, 2022Updated: 04:47 PM Feb 06, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত ব্যক্তির শুক্রাণুতে কার অধিকার? এই নিয়ে বিতর্ক গড়াল আদালতে। এক অবিবাহিত পুরুষের হিমায়িত বীর্য (Sperm) ফেরত চেয়েছিল তাঁর পরিবার। কিন্তু তা দিতে অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় ওই পরিবার। দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court) এবিষয়ে কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারের মতামত জানতে চেয়েছে।

Advertisement

ঠিক কী হয়েছিল? ৩০ বছরের ক্যানসার (Cancer) আক্রান্ত এক যুবকের মৃত্যু হয় ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে। তার আগে সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছিল তাঁর বীর্য। আসলে ওই যুবককে কেমো দেওয়ার সিদ্ধান্তের পরই তাঁর পরিবার জানতে পারে একবার কেমো দেওয়া শুরু হলে ভবিষ্যতে প্রজনন ক্ষমতা হয়তো হারাতে পারেন তাঁদের ছেলে। তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যুবকের বীর্য জমিয়ে রাখা হবে।

[আরও পড়ুন: সরস্বতী পুজোর রাতে দুই ক্লাবের বচসা, তুমুল সংঘর্ষে উত্তপ্ত আমর্হাস্ট স্ট্রিট]

কিন্তু সমস্যার শুরু যুবকের মৃত্যুর পরে। সংরক্ষিত ওই বীর্য ফেরত দিতে অস্বীকার করে দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কেন? তাদের দাবি ছিল, অবিবাহিতের বীর্যে কার অধিকার সে সম্পর্কে কোনও আইনেই স্পষ্ট করে কিছু বলা নেই। সেই কারণেই তা ফেরত দিতে অপারগ তারা। এরপরই বিষয় গড়ায় আদালতে। আর আদালতের তরফে প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়।

আসলে এদেশে মৃত অবিবাহিতের বীর্যের অধিকার নিয়ে আইন কিংবা রাজনৈতিক বক্তব্য বা কিছুই নেই। এই ধোঁয়াশার কারণেই আদালত প্রশাসনিক মতামতকে গুরুত্ব দিতে চাইছে।
মৃতের পারিবারিক আইনজীবী কুলদীপ সিং অবশ্য দাবি করছেন, এই বীর্য ফেরত দিতে অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃতের পরিবারের অধিকারভঙ্গ করছে। তাঁর যুক্তি, যেহেতু ওই যুবকের মরদেহের একমাত্র দাবিদার তাঁর পরিবারই, তাই এভাবে ওই হিমায়িত বীর্য থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা যায় না।

[আরও পড়ুন: জীবনের প্রথম আয় মোটে ২৫ টাকা, কত টাকার সম্পত্তি রেখে গেলেন লতা মঙ্গেশকর?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement