সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েক বছর ধরেই যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটছে। চলতি বছরের শুরুতেই রাজস্থানের সিরোহিতে ভেঙে পড়েছিল মিগ-২৭। তাই ওই বিমানগুলিকে বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৯৯৯-এর কার্গিল যুদ্ধের সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান মিগ-২৭ এবার অবসর নিতে চলেছে। শুক্রবারই শেষবারের মতো যোধপুরে বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে উড়বে মিগ-২৭।
বায়ুসেনার এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, “বর্তমানে কোনও দেশই মিগ-২৭ ব্যবহার করে না। এবার ইতিহাসে জুড়বে মিগ-২৭-এর নাম।” মিগ ২৭-কে এবার সংগ্রহশালায় রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। আটের দশকের শেষ দিকে মিগ-২৭ বিমান আসে এ দেশে। আকাশ থেকে মাটিতে থাকা নিশানায় নির্ভুল লক্ষ্যে বোমা ফেলতে পারত এই যুদ্ধবিমান। ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তেও দক্ষ ছিল। বায়ুসেনার পাইলটদের কাছে ‘বাহাদুর’ নামে পরিচিত মিগ-২৭।
[আরও পড়ুন: প্রশিক্ষণের সময় দুর্ঘটনা, পুনের মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে মৃত দুই জওয়ান]
প্রযুক্তিতে বিপুল উন্নতির সঙ্গে একটা সময় দেশকে সাফল্য এনে দেওয়া মিগ-২৭ যুদ্ধবিমানের ব্যবহার অনেক কমেছে। বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনা আরও আধুনিক চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে। ‘বাহাদুর’ পাইলটদের অনেকেই জানাচ্ছেন কোনও দেশেই এখন আর সে অর্থে মিগ ২৭ এর ব্যবহার নেই। তাই সাফল্যের কর্মজীবনের শেষে যোধপুর থেকে অবসর নিচ্ছে তাদের ‘বাহাদুর’। এদিন সকালে, জোধপুরের বাযুসেনা ঘাঁটিতে ‘ওয়াটার স্যালুট’ দেওয়া হয় ‘বাহাদুর’কে।
উল্লেখ্য, সাফল্যের পাশাপাশি ব্যর্থতাও আছে মিগ-২৭ কে ঘিরে। ১৯৯৯ সালে কারগিল যুদ্ধ চলাকালীন ইঞ্জিন সমস্যায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভেঙে পড়ে একটি মিগ-২৭ বিমান। ২০০১ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে প্রায় ভারতীয় বায়ুসেনার প্রায় ১২টি মিগ-২৭ যুদ্ধবিমান দুর্ঘটমে ধ্বংস হয়। ২০১০ সালের ১৬ ফ্রেবুয়ারি মাসে শিলিগুড়ির কাছে ভেঙে পড়ে একটি মিগ-২৭ যুদ্ধ বিমান। তারপরেই ধীরে ধীরে উড়ে বেড়ানো কমতে থাকে ‘বাহাদুর’ এর। ২০১৭ সালে ২৯ ডিসেম্বর মিগ-২৭ এমএল অবসর নেয়। এবার শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর অবসর নিতে চলেছে মিগ ২৭ বিমান। বায়ুসেনা সূত্রে খবর তাদের প্রিয় ‘বাহাদুর’ এর দেখা মিলবে এবার সংগ্রহশালায়।
The post অবসর নিতে চলেছে বিশ্বস্ত ‘বাহাদুর’, আজই শেষবারের মতো উড়বে মিগ-২৭ appeared first on Sangbad Pratidin.