সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভবিষ্যতের যুদ্ধের জন্য তৈরি হচ্ছে ভারত (India)। একসঙ্গে দুই ফ্রন্টে লড়াই করার জন্য এবার আরও সুসজ্জিত হচ্ছে ভারতের ‘চতুরঙ্গ বাহিনী’। বৃহস্পতিবার ১ হাজার ৭৫০টি অত্যাধুনিক ‘ইনফ্যান্ট্রি কমব্যাট ভেহিকেল’ বা ভবিষ্যতের লড়াইয়ের জন্য যুদ্ধযান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থলসেনা (Indian Army)।
[আরও পড়ুন: মোদির যত সমালোচনা টুইটারেই, রাহুল গান্ধীর সমালোচনায় জোটসঙ্গী শিব সেনা]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সেনায় সংযুক্ত হওয়ার পর ইনফ্যান্ট্রি ভেহিকেলগুলিকে পূর্ব লাদাখ তথা রাজস্থানের মরুভূমি অঞ্চলে মোতায়েন করা হবে। লাদাখে চিনা আগ্রাসনের কথা মাথায় রেখে ৩৫০টি হালকা ট্যাঙ্ক কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সূত্রের খবর, কয়েক হাজার কোটি টাকার এই বরাতে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’য় জোর দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেনার তরফে জারি করা ‘রিকুয়েস্ট ফর ইনফরমেশন’ বা অস্ত্র নির্মাতাদের কাছে হাতিয়ারের তথ্য জানতে চেয়ে ফৌজ জানিয়েছে, হাকলা ট্যাঙ্কগুলিকে পাহাড়ি অঞ্চলে মোতায়েন করা হবে। সেগুলির সঙ্গে অত্যাধুনিক হাতিয়ার সংযুক্ত করার মতো ব্যবস্থা থাকতে হবে। জলে ও স্থলে কাজ করতে সক্ষম হতে হবে ওই যানগুলিকে। ফলে হালকা ট্যাঙ্ক, ইনফ্যান্ট্রি কমব্যাট ভেহিকেল ও অন্যান্য হাতিয়ারে আরও ঘাতক হয়ে উঠছে ভারতের ‘চতুরঙ্গ বাহিনী। বলে রাখা ভাল, প্রাচীন কালে অশ্ব, হাতি, পদাতিক সেনা ও রথ নিয়ে তৈরি হত চতুরঙ্গ বাহিনী। বর্তমানে হাতি ও ঘোড়ার জায়গা নিয়েছে আধুনিক ট্যাঙ্ক ও কমব্যাট যানগুলি।
উল্লেখ্য, লাদাখে চিন ও কাশ্মীরে পাকিস্তানের সঙ্গে দুই ফ্রন্টে একযোগে হামলা হলে প্রস্তুত থাকতে চাইছে ভারত। তাই ভবিষ্যতের যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে ময়দানে সৈনিকদের দ্রুত ও নিরাপদভাবে মোতায়েন করার উদ্দেশ্যেই ইনফ্যান্ট্রি ভেহিকেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। এই যানগুলিতে সৈনিকদের সুরক্ষার পাশাপাশি হামলা চালানোর জন্য হাতিয়ারও থাকবে। বলে রাখা ভাল, সম্প্রতি ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল বিপিন রাওয়াত (Bipin Rawat) জানিয়েছেন যে লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনার অবস্থান বদল করেছে চিন। পাহাড়ি এলাকায় নিজের সৈনিকদের সীমিত প্রশিক্ষণের বিষয়টি বুঝতে পেরেছে তারা। তাই তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। তব্বতে একাধিক সেনঘাঁটি ও বিমানঘাঁটি সাজিয়ে তুলছে চিন। ফলে দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে কোনও আপোস করতে চাইছে না কেন্দ্রীয় সরকার।