সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের তরুণদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হচ্ছে। প্রয়োজন মিটে গেলে ছুড়ে ফেলা হচ্ছে। সোমবার লোকসভায় এই ভাষাতেই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, শহিদ অগ্নিবীর অজয় কুমার (Ajay Kumar) পরিবার কোনও অর্থসাহায্য পাননি। যদিও রাহুলের এই বক্তব্য নস্যাৎ করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করল ভারতীয় সেনা। সেখানে জানানো হয়েছে, শহিদের পরিবারকে ৯৮ লক্ষ টাকা অর্থ সাহায্য করেছে সেনা।
বুধবার এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে সেনার তরফ জানানো হয়েছে, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে কর্মরত অবস্থায় অগ্নিবীর অজয় কুমারের মৃত্যুতে তাঁর নিকট আত্মীয়কে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়নি। যা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। ভারতীয় সেনা অগ্নিবীর অজয় কুমারের মহৎ আত্মত্যাগকে স্মরণ করছে। পূর্ণ সামরিক সম্মানে তাঁর শেষকৃত্য করা হয়েছে। প্রাপ্য অর্থসাহায্য বাকি ছিল, তার মধ্যে ৯৮.৩৯ লক্ষ টাকা অগ্নিবীর অজয় কুমারের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অগ্নিপথ প্রকল্প অনুযায়ী আরও প্রায় ৬৭ লক্ষ টাকা পুলিশের তরফে নথি যাচাইয়ের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। অর্থাৎ ক্ষতিপূরণের মোট অর্থমূল্য ১.৬৫ কোটি টাকা। সোশাল মিডিয়ার পোস্টে সেনার তরফে আরও জানানো হয়েছে, শহিদ জওয়ানদের সব সময় সম্মান জানানো হয়। দ্রুত আর্থিক সাহায্য দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
[আরও পড়ুন: পার্টিতে মদ নেই কেন? জন্মদিনেই যুবককে ছাদ থেকে ফেলে খুন করল বন্ধুরা]
সোমবার লোকসভায় তিনি বলেন, "অগ্নিপথ প্রকল্পে অগ্নিবীরেরা হয়ে গিয়েছেন ‘ইউজ় অ্যান্ড থ্রো’ শ্রমিক। সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে তাঁদের মৃত্যু হলে তাঁদের শহিদ বলা হয় না। বলা হয় ‘অগ্নিবীর’। অথচ তাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েও মর্যাদা পান না। তাঁদের পরিবার পেনশন পায় না। ক্ষতিপূরণও পায় না।" যদিও রাহুলের ওই বক্তব্যকে 'অসত্য’ বলে মন্তব্য করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
[আরও পড়ুন: এক সপ্তাহে দুবার, ফের হাসপাতালে ভর্তি লালকৃষ্ণ আডবাণী]
এর পর বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেন রাহুল। সেখানে কংগ্রেস নেতাকে শহিদ অগ্নিবীরের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে দেখা যায়। ভিডিওতে তাঁরা আর্থিক সাহায্য পাননি বলে দাবি করেন। ওই ভিডিওতেই রাহুল দাবি করেছেন, শহিদ অগ্নিবীরের পরিবারের সদস্যরা প্রকৃত সত্য তুলে ধরেছেন। তাঁরা কোনও অর্থসাহায্য পাননি। এর ঘণ্টা দুয়েক পরেই সেনার পোস্টে ক্ষতিপূরণ মেটানোর দাবি করা হয়েছে।