সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সালটা ছিল ১৯৭১। তুঙ্গে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। মুক্তির ক্ষণ গুনছে বাংলাদেশ। করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রামে অস্ত্র পাঠাতে চলেছে পাক সেনা। যেভাবেই হোক আটকাতে হবে পাক অস্ত্রবাহী জাহাজকে। নির্দেশ গেল নৌসেনার কাছে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ছকে ফেলা হল ‘অপারেশন ট্রাইডেন্ট’-এর নকশা। গোপনে ভারতীয় নৌবহর ঘিরে ফেলল করাচিকে। একের পর এক মিসাইল হামলায় খাক হয়ে গেল পাকিস্তানের প্রধান বন্দর। তাই আজও ভারতীয় নৌসেনার নামে আতঙ্কের শিহরণ জাগে শত্রুর বুকে। তবে পরিস্থিতি পালটেছে। আধুনিক হয়েছে রণকৌশল ও হাতিয়ার। ফলে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরও ঘাতক হচ্ছে নৌসেনা। এবার ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে আসতে চলেছে অত্যাধুনিক সাবমেরিন বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র।
[রোহিঙ্গা গণহত্যায় রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট, কাঠগড়ায় মায়ানমারের সেনাপ্রধান]
জানা গিয়েছে, শীঘ্রই নৌবাহিনীর রণতরীগুলিতে থাকবে সাবমেরিন বিধ্বংসী রকেট। প্রায় ৯ কিলোমিটার পর্যন্ত নিখুঁতভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে যৌথভাবে এই হাতিয়ারটি তৈরি করেছে ‘অর্মামেন্ট রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট এস্টাব্লিশমেন্ট’ ও ‘হাই এনার্জি মেটেরিয়াল রিসার্চ ল্যাবরেটরি’। ভারত মহাসাগরে ক্রমশ বাড়তে থাকা চিনা নৌসেনার গতিবিধিতে উদ্বিগ নয়াদিল্লি। তাই লালফৌজের মোকাবিলায় প্রস্তুত হচ্ছে ভারতীয় নৌসেনা। তুলনামূলকভাবে ভারতের থেকে চিনের কাছে বেশিসংখ্যক সাবমেরিন রয়েছে। তবে নয়া ব্রহ্মাস্ত্রটি হাতে এলে ক্ষমতার দিক থেকে এগিয়ে যাবে ভারত। বর্তমানে সাবমেরিন শিকার করতে নৌসেনা রাশিয়া নির্মিত রকেট গাইডেড বম্ব ব্যবহার করছে। রাজপুত, তলওয়ার ও দিল্লি ক্লাসের রণতরীগুলিতে এই অস্ত্র মোতায়েন রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ভারতীয় নৌসেনায় যুক্ত হয় ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কিলতান। বিশাখাপত্তনমের নৌঘাঁটি থেকে জাহাজটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জাহাজটি তৈরি হয়েছে গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স। সম্পূর্ণরূপে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই জাহাজ। এর আগে নৌবাহিনীতে দেশীয় প্রযুক্তির শিবালিক ক্লাসের আইএনএস কার্মোতা ও কলকাতা ক্লাসের আইএনএস কাদমাতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাহাজটিতে আছে শক্তিশালী টর্পেডো, এএসডব্লিউ রকেট, ৭৬ এমএম ক্যালিবারের কামান, দুটি মাল্টি ব্যারেল ৩০ এমএম গান। থাকছে ১৩ নৌসেনা অফিসার ও ১৭৮ নাবিক। পরে এটিতে কপ্টার নামানোর পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। জাহাজটিকে শক্তি জোগাবে ৪টি ডিজেল ইঞ্জিন।
[আরও বিপাকে মেজর গগৈ, শাস্তিমূলক পদক্ষেপ সেনা আদালতের]
The post আর দিনের আলো দেখবে না শত্রুর সাবমেরিন, ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ পেতে চলেছে নৌসেনা appeared first on Sangbad Pratidin.