shono
Advertisement

Breaking News

আবেগ ও মেধাভিত্তিক রাজনীতি: অদ্ভুত এক ভার্চুয়াল বাস্তবতা হয়ে উঠেছেন মোদি

আদবানি পরবর্তী প্রজন্মের বেশ কিছু নেতাকে নিজে হাতে তৈরি করেছিলেন।
Posted: 02:03 PM Mar 02, 2024Updated: 03:24 PM Mar 02, 2024

মিডিয়া থেকে প্রধানমন্ত্রী নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন। আবার সর্বদাই সোশ‌্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ‌্যমে যুক্ত থাকেন ভারতীয় সমাজের সঙ্গে। অদ্ভুত এক ভার্চুয়াল বাস্তবতা হয়ে উঠেছেন তিনি গত দশ বছরে। এই রাজ্যে তাঁর সেই প্রভাব খর্ব করতে পেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লিখছেন জয়ন্ত ঘোষাল

Advertisement

কলকাতার এক প্রবীণ সম্পাদক একদা আমাকে রসিকতাচ্ছলে বলেছিলেন, রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে সাংবাদিকের সম্পর্ক আসলে সবসময়ই খাদ‌্য-খাদকের। সাংবাদিক সক্রিয় হলে, সময় দিলে রাজনেতার সঙ্গে ব‌্যক্তিগত মধুর সম্পর্ক গড়ে ওঠে, পারস্পরিক বোঝাপড়া হয়। নেতা কী বলতে চাইছেন, ঠিক কীভাবে ভাবছেন, কী ভাবছেন না, সেটা মুখ না-খুললেও রিপোর্টার বুঝে যান। কিন্তু রিপোর্টার তো স্টেনোগ্রাফার নন, রাজনেতার জনসংযোগ অধিকর্তাও নন। অতএব, রিপোর্টারের কর্তব‌্য হল, সেই নেতার বা তাঁর সরকার অথবা দলের সমালোচনা করা, অন‌্যায় দেখলে প্রতিবাদ করা। যা সাংবাদিকরা এখন করলে রাজনৈতিক নেতারা সাধারণভাবে অসন্তুষ্ট হন।

অতীতেও বহু নেতা রেগে যেতেন, তবে অনেকে সত‌্য হলে রিপোর্টারকে সমালোচনা করার পরিসর দিতেন। এখন বহু ক্ষেত্রে রিপোর্টাররাও কোনও-না-কোনও নেতা বা দলের জার্সি গায়ে দিয়ে কলম অথবা বুম ধরছেন। বহু ক্ষেত্রে তা-ই দেখা যাচ্ছে এক ভয়াবহ খাদ‌্য-খাদক সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে। সত‌্য আর অসত‌্য গুলিয়ে যাচ্ছে। রাজনেতাদের অসহিষ্ণুতাও তীব্র থেকে তীব্রতর।

দিল্লিতে আছি ছেদহীন ৩৭ বছর। বিজেপির (BJP) পুরনো পার্টি অফিস ১১ নম্বর অশোক রোডের পিছনের ব‌্যারাক ঘরে থাকতেন বিজেপি নেতা ‘আরএসএস’ প্রচারক নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। খুপরি খুপরি ঘর। পাশে আর-একটি ঘরে থাকতেন তামিল তাত্ত্বিক নেতা গোবিন্দাচার্য। সেটা ছিল ১৯৯৮। বিজেপির সভাপতি তখন লালকৃষ্ণ আদবানি। আমরা, সাংবাদিকরা, বিকেল তিনটের সময় প্রতিদিন বিজেপি দপ্তরে যেতাম সংবাদ সংগ্রহে। আড্ডা হত নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। সে-সময় ওঁর সঙ্গে ব‌্যক্তিগত সখ‌্য গড়ে ওঠে। চোখের সামনে দেখেছি, কীভাবে একজন মানুষ হালে ২০২৪ সালের ‘লেভিয়াথান’ নরেন্দ্র মোদি হয়ে উঠেছেন।

 

[আরও পড়ুন: রাজ্যসভার ৩৩ শতাংশ সাংসদের নামে ফৌজদারি মামলা, সম্পত্তি হার মানায় কুবেরকেও!]

রাজনীতির রণক্ষেত্রের এই কুশীলবদের আমরা কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাই পেশাগত কারণে। অন‌্য যে কোনও পেশার মতোই রাজনীতিতেও অনেকজনের মধ্যে এক-একজন নরেন্দ্র মোদি অথবা মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায় হয়ে ওঠেন। সবাই হতে পারেন না। পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের দীর্ঘ শাসনের হেজেমনিকে সরানোর সুযোগ তো অনেকে পেয়েছিলেন– প্রণব মুখোপাধ‌্যায়, অশোক সেন, বরকত গণি খান চৌধুরি থেকে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি– কেউ তো সেদিন সফল হননি। মমতা পেরেছিলেন।

ঠিক সেভাবেই সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বাজপেয়ীর পর নরেন্দ্র মোদি হয়ে উঠলেন সর্বভারতীয় ‘মুখ’। শুধু বিজেপির নয়, দেশের ১৪০ কোটি মানুষের এক বিপুল অংশের প্রতিনিধি হয়ে উঠলেন তিনি। আদবানি পরবর্তী প্রজন্মের বেশ কিছু নেতাকে নিজে হাতে তৈরি করেছিলেন। শুধু তো মোদি নন, অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজ, রাজনাথ সিংহ, উমা ভারতী, বসুন্ধরা রাজে, প্রমোদ মহাজন, অনন্ত কুমার। শেষবেলায় নীতীন গড়কড়ি। কার নাম বাদ দিয়ে কার নাম বলব? কিন্তু শেষ পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদি-ই সফল হলেন।

 

অশোক রোডের সেই ব‌্যারাক থেকে ধীরে ধীরে, ধাপে ধাপে তিনি উন্নীত হয়েছেন। নিজেকে আরও যোগ‌্য, আরও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত করে তুলেছেন। রাজনীতির প্রথম অধ‌্যায়ে তিনি সর্বভারতীয় রাজনীতি নিয়ে উৎসাহ দেখাননি, আরএসএসের প্রচারক হিসাবে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেছেন। শুধু গুজরাটে নয়, কখনও কেরল, কখনও হরিয়ানা, কখনও রাজস্থানে কাজ করেছেন। তারপর বেশ কয়েক বছর তিনি বিদেশে লন্ডনে-আমেরিকায় ওভারসিস বিজেপির কাজে ব‌্যস্ত ছিলেন। গুজরাতের একটি বড় জনসমাজ দেশের বাইরে থাকে। তিনি সেখানেও বিজেপি ও সংঘের প্রচারের কাজ করেছেন।

অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ সভা ‘কভার’ করতে গিয়েছিলাম। সেবার সেখানেও মোদি অনাবাসী ভারতীয়দের নিয়ে বাজপেয়ীর জন‌্য এক জনসভার আয়োজন করেন। বাজপেয়ী মঞ্চ থেকে ভিড় দেখে বললেন, ‘এত লোককে এখানে আনলে কী করে?’ হালে মোদি যখন শক্তিশালী ভারতের ভাবমূর্তি নির্মাণের বিদেশনীতি রচনায় উৎসাহ নেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়ে নিউ ইয়র্কে অনাবাসী ভারতীয়দের বিরাট সভা করেন, তখন আমার সেই বাজপেয়ীর সভার কথা মনে পড়ছিল।

 

[আরও পড়ুন: মারাত্মক অভিযোগ! এবার সাড়ে ৫ কোটি টাকা জরিমানা পেটিএম ব্যাঙ্ককে]

মোদি বিধায়ক হওয়ার আগেই কেশুভাই প‌্যাটেলকে সরিয়ে মুখ‌্যমন্ত্রী হন। ২০০১ সালে। কেশুভাই বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। সরকারের ভাবমূর্তি দুর্নীতি ও প্রশাসনিক ব‌্যর্থতায় কালিমালিপ্ত। তখন সংখ‌্যাগরিষ্ঠ এমএলএ আদবানির কাছে এসে মোদিকে মুখ‌্যমন্ত্রী হিসাবে চান। মূলত আদবানির আশীর্বাদেই সেদিন তিনি মুখ‌্যমন্ত্রী হলেন। ডারউইনবাদ যেমন প্রাণীর বিবর্তনের কাহিনি জানায়, মানুষের জীবনেও শরীর শুধু নয়, অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে তার মন ও প্রাজ্ঞতার বিকাশ ও বিবর্তন হয়। নরেন্দ্র মোদিও আন্তরিকভাবে নিজেকে ভেঙেছেন, নতুন করে নির্মাণ ও বিনির্মাণ করেছেন। মোদির রাজনৈতিক দর্শন ও কুশলতাকে আপনি সমর্থন নাও করতে পারেন, কিন্তু তিনি গুজরাতের মুখ‌্যমন্ত্রী হয়ে প্রথম অধ‌্যায়ে অটলবিহারী বাজপেয়ীর মতো ধর্মনিরপেক্ষ, উদার ও নরম মনোভাবের নেহরুবাদী নেতা হতে চাননি।

গোবিন্দাচার্য যাকে বলেছিলেন, ‘মুখোশ’, সামাজিক মনস্তত্ত্ব বলে– আসল কথা হল, আপনি কী হতে চান, কী করতে চান, সে বিষয়ে ‘ফোকাসড্‌’ হওয়া প্রয়োজন। একবগ্গা লক্ষ‌্যই সাফল‌্য আনতে পারে। বিখ‌্যাত মার্কিন মনস্তত্ত্ববিদ ড‌্যানিয়েল গোলম‌্যান তাঁর বই ‘ফোকাস: দ‌্য হিডেন ড্রাইভার অফ এক্সিলেন্স’-এ বলেছেন– চূড়ান্ত অগ্রাধিকারের আবেগতাড়িত মেধা কীভাবে ব‌্যক্তিজীবনে সাফল‌্য আনে। এই শক্তিতে মোদি ধীরে ধীরে গুজরাট থেকে সমগ্র দেশের ‘হিন্দু হৃদয়সম্রাট’ হয়ে উঠলেন। তিনি এক শক্তিশালী নতুন সনাতনী ভারতের উদ্‌গাতা হয়ে উঠলেন; যে ভারত আধুনিক প্রযুক্তিকে গান্ধীজির মতো অস্বীকার করে না।

২০০২ সালে গুজরাটের গোধরার দাঙ্গার পর তাঁকে সরানোর দাবি ওঠে। এখনও মনে আছে, গোয়াতে বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে মোদির ইস্তফা নিয়ে তুমুল বিতণ্ডা হয়। বৈঠক শুরুর দিন সকালে অন্ধ্রপ্রদেশের তৎকালীন মুখ‌্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু মোদির ইস্তফা দাবি করে বসলেন। বাজপেয়ীও বিবৃতি দিয়ে মোদিকে ‘রাজধর্ম’ পালনের উপদেশ দেন। মিডিয়া সেন্টারে গুজব ছড়িয়ে যায় যে, সেদিনই মোদিকে ইস্তফা দিতে হবে। বৈঠক শুরু আগেই সকালে আদবানিকে ফোন করে জিজ্ঞেস করতেই তিনি বললেন, ‘শরিক দলের চাপে বিজেপি তার দল মুখ‌্যমন্ত্রী কেন বদল করবে? আজ বিকেল তিনটের সময় দলের সাধারণ সম্পাদক জানা কৃষ্ণমূর্তি সাংবাদিক বৈঠক করে বলে দেবেন মুখ‌্যমন্ত্রী বদল হবে না।’ ঠিক তেমনটাই সেদিন হয়েছিল।

বৈঠকে আলোচনার আগেই আদবানি এতটা নিশ্চিতভাবে এ কথা বলেন কারণ, আরএসএস তথা সংঘ পরিবারও মোদির পক্ষে ছিল। পরে যশবন্ত সিংহা বলেছিলেন, বৈঠকে আদবানি বলেন– মোদি ইস্তফা দিলে তার আগে আমার ইস্তফা গ্রহণ করুন! ২০১৪ সালে মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগেও দেশজুড়ে সংঘের মুড তৈরি হয়ে গেল– ‘মোদিই মুখ’। আবার গোয়ার বৈঠকেও তাই চূড়ান্ত হল। ক্ষুব্ধ আদবানি গেলেন না। অরুণ জেটলি ছিলেন মোদির পাশে। অন‌্যরা প্রথমে না থাকলেও আদবানি সেই বর্ষামুখর দিনটিতে গোয়াতে অনুপস্থিত থাকেন, কারণ তিনিও দেশের দেওয়াললিখন পড়তে পারছিলেন।

 

[আরও পড়ুন: ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে সপ্তাহান্তে, যাত্রীদের সুখবর শোনাল রেল]

২০১৪ সালের পর গত দশ বছরে মোদি আরও নিজেকে বিবর্তিত করেছেন। তিনি কিন্তু অসম্ভব ভাল শ্রোতা। কেউ দেখা করতে গেলে তার কথা শোনেন। কখনও ঘড়ির দিকে তাকান না। তিনি নিজে বহু বিষয়েই জানেন না, জানতেন না, কিন্তু সব ব‌্যাপারে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে হোমওয়ার্ক করেন। এমনকী, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ‌্যায়ের কাছ থেকেও বহু ব‌্যাপারে পরামর্শ নিতেন। দায়িত্ব বণ্টন করে দেন, সবকিছুই ‘মাইক্রো লেভেল’-এ নিজে করেন না। আবার সার্বিকভাবে নীতি প্রণয়ন থেকে ব‌্যক্তির মনোনয়ন– সব ব‌্যাপারেই নিয়ন্ত্রণও রাখেন।

মিডিয়া থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে সচেতনভাবে দূরত্ব তৈরি করে রাখেন। আবার সর্বদাই সোশ‌্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ‌্যমে যুক্ত থাকেন ভারতীয় সমাজে। এক অদ্ভুত ভার্চুয়াল বাস্তবতা হয়ে উঠেছেন তিনি গত দশ বছরে। সমস‌্যার সমাধান হোক বা না হোক, মানুষ ভাবছে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে মোদির বিকল্পই বা কী? কংগ্রেসকে প্রধান টার্গেট করে বিরোধীকে তিনি ছত্রভঙ্গ করে দিতে সক্ষম হয়েছেন। একান্তে তিনি প্রতিপক্ষের নেতাদের শক্তিকেও অস্বীকার করেন না। তিনি স্টালিন থেকে নবীন পট্টনায়েক ব‌্যক্তিগত স্তরে অ-বিজেপি মুখ‌্যমন্ত্রীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চান, দল সে রাজ্যে যতই তাদের বিরোধিতা করুক না কেন।
এখন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সবচেয়ে বড় ল‌্যাবরেটরি। শ‌্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ‌্যায়ের রাজে‌্য বিজেপিকে ক্ষমতায় আনা যেন মোদি-শাহর ধনুকভাঙা পণ। কিন্তু প্রবল প্রতিবন্ধকতার মধে‌্যও মমতাই যে একমাত্র মহিলা মুখ‌্যমন্ত্রী ও নেত্রী যিনি বিজেপির সঙ্গে দঁাতে দঁাত দিয়ে লড়ছেন, সে-কথাও ঘনিষ্ঠ বহু নেতাকে নরেন্দ্র
মোদি বলেছেন।

কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ যখন হয় তখনও দুই শিবিরের প্রতিযোগীরা অন‌্যপক্ষের শক্তি সম্পর্কে সুষ্ঠু ধারণা রাখতেন। এখনও প্রকাশ্যে লড়াই যতই হোক, বাস্তববোধ দু’পক্ষেরই থাকে। কয়েক দশক ধরে এই নরেন্দ্র মোদিকে দেখার সুযোগ পেয়েছি। প্রকাশ্যে সতীর্থ নেতাদের সঙ্গে আই কনট‌্যাক্ট পর্যন্ত করেন না। যদি ভিড়ের মধে‌্য চলতে চলতে হঠাৎ অমিতাভ বচ্চনকে দেখেও এক পলকের জন‌্য থেমে গিয়ে কোনও মন্তব‌্য করেন, তবে
তা-ও হবে সচেতন চিত্রনাট‌্য। আচমকা নয়।

একবার সংসদে ওঁর ঘরে কথা বলছি। ওঁর এক ব‌্যক্তিগত সচিব এসে বললেন, ‘এবার উঠতে হবে যে।’ অনেকে বাইরে অপেক্ষমাণ। আমি তাড়াহুড়ো করে উঠছিলাম। বললাম, ‘সরি’। উনি নির্লিপ্ত। বললেন, ‘ওই যে হাতের খবরের কাগজের মাথায় কীসব পয়েন্ট লিখে এনেছিলে, ওগুলো চেক করে নাও। বাইরে গিয়ে আবার ভাববে, যাঃ এই প্রশ্নটাই যে করা হল না!’

 

[আরও পড়ুন: ‘লুটের টাকা ফেরাতে হবে, মোদি ছাড়বে না,’ নিয়োগ থেকে রেশন দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে তোপ প্রধানমন্ত্রীর]

তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে তিনি কোনও দিনই ঘুরতেন না। বাজপেয়ী-আদবানির মতো গপ্প করতে করতে খবরও দিতেন না। কে মন্ত্রী হবেন, কে হবেন না, কে-কোন দপ্তর পাবেন তা তো আগাম মন্ত্রীরাই জানতে পারেন না ওঁর জমানায়, সাংবাদিকরা কী জানবেন!

আদবানি একবার বলেছিলেন, মোদির সাফল্যের বড় কারণ হল ওঁর মধ্যে থাকা সাংঘাতিক ‘ডিটারমিনেশন’। কিছু পেতে গেলে তার জন‌্য তীব্র অভিলাষ প্রয়োজন হয়, সব মানুষের মধ্যে ওই তীব্রতার প্রবৃত্তি থাকে না। এটাই হল ‘ফোকাস’। আবেগের মেধাভিত্তিক রাজনীতি।

(মতামত নিজস্ব)
লেখক বিশিষ্ট সাংবাদিক
redhat.jayanta@gmail.com

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement