সুব্রত বিশ্বাস: বেলুড় মঠ (Belur Math) স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠতে গেলে টিকিট কাটতে হয় মঠের ভিতরে থাকা টিকিট কাউন্টার থেকেই। দীর্ঘদিন ধরে মঠের ভিতরেই রয়েছে টিকিট সংরক্ষণ কেন্দ্রটি। কিন্তু সেটির জন্য ভাড়া গুনতে হয় রেলকে (Indian Railways)। আর তাই ‘বাড়তি খরচ’ বন্ধ করতে সেই টিকিট সংরক্ষণ কেন্দ্র সরাতে চায় রেল কর্তৃপক্ষ। যদিও মঠ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে টিকিট সংরক্ষণ কাউন্টার না সরানোর কথা বলে হয়েছে। প্রয়োজনে ভাড়া মকুব করার আশ্বাসও দিয়েছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, বেলুড় মঠের ভিতর থেকে টিকিট সংরক্ষণ কেন্দ্রকে স্টেশনে স্থানান্তরিত করতে মঠ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মৌখিক আলোচনাও হয়েছে। সেখানেই রেল জানায়, ওই টিকিট কাউন্টার মঠের ভিতরে হওয়ায় ভাড়া গুনতে হচ্ছে। ফলে রেলের বাড়তি খরচ হচ্ছে। তাই তাঁরা ওই টিকিট কাউন্টারটি স্টেশনে সরিয়ে নিতে চান। এরপরই মঠ কর্তৃপক্ষ ভাড়া মুকুবের আশ্বাস দিয়েছেন। ১৯৮০ সালে বেলুড় মঠে বিশ্ব ধর্ম মহাসম্মেলন উপলক্ষে মহারাজ, বিদেশি ও দেশি ভক্তদের সুবিধা দিতে রেল টিকিট সংরক্ষণের কেন্দ্রটি মঠের ভিতরে খোলা হয়। সেই থেকে চলছিল। কেন্দ্রটি স্থানান্তরিত যাতে না করা হয় সেকথাও তাঁরা জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: রেলের পরিত্যক্ত কোচ থেকে উদ্ধার কর্মীর ঝুলন্ত দেহ, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ঘনীভূত রহস্য]
হাওড়ার সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার রাজীব রঞ্জন জানান, ‘‘মৌখিকভাবে মঠকে জানানো হয়েছে, আর্থিক সমস্যার জন্য কেন্দ্রটি বর্তমান অবস্থানের ঠিক উলটোদিকে বেলুড় মঠ স্টেশনে স্থানান্তরিত করতে চায় রেল। কারন, সেই জায়গায় হলে আলাদা করে ভাড়ার খরচ বইতে হবে না। তবে এখনও স্থির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’’
তবে এই খবর সামনে আসতেই কিছুটা হলেও বিতর্কও তৈরি হয়েছে। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই বেলুড় মঠের ভিতরে রয়েছে ওই টিকিট কাউন্টারটি। তাই মঠ কর্তৃপক্ষও চাইছে, সেটি যাতে না সরানো হয়।