সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে আবারও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। নতুন করে ভয় ধরাতে শুরু করছে লাফিয়ে বাড়তে থাকা সংক্রমণের হার। দেশে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা পার করল ৪ হাজারের গণ্ডি। বড়দিন, বর্ষবরণের ভিড়কে মাথায় রেখে দেশজুড়ে সতর্কতা অবলম্বন করছে প্রশাসনও।
করোনার নয়া সাব-ভ্যারিয়েন্ট JN.1-এর রূপ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে মানুষের মধ্যে। তারই মধ্যে সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হল, দেশে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ৪ হাজার পেরিয়ে গেল। বর্তমানে কোভিডের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ৫৪। ২৪ ঘণ্টা আগে যা ছিল ৩,৭৪২। এর মধ্যে অ্য়াকটিভ কেসের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি কেরলে। এই রাজ্যেই প্রথম JN.1-এর হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। একদিনে সেখানে অ্যাকটিভ কেস বেড়েছে ১২৮। যার জেরে শুধু কেরলেই সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩০০০ টপকে গেল।
[আরও পড়ুন: অবশেষে স্বস্তি! ৩০৩ ভারতীয় নিয়ে ফ্রান্সে আটকে পড়া বিমান পেল ওড়ার অনুমতি]
গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে মারণ করোনা ভাইরাস কেড়েছে একজনের প্রাণ। ফলে দেশে কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩৩৪। যদিও এর মধ্য়ে স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩১৫ জন। তবে করোনার নয়া সাব-ভ্যারিয়েন্ট নতুন করে মাথাব্য়থার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মহারাষ্ট্রের থানেতে গত ৩০ নভেম্বরের পর যে ২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তার মধ্যে পাঁচজনই JN.1 সাব-ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত বলে খবর। তার মধ্যে রয়েছেন এক মহিলাও। যদিও কাউকেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ফের বাধ্যতামূলক হতে চলেছে মাস্ক? সাব-ভ্যারিয়েন্ট থেকে বাঁচতে কি নতুন করে টিকা নিতে হবে?
ইন্ডিয়া-সার্স-সিওভি২ জিনোমিক্স কনসোর্টিয়ামের প্রধান ড. এন কে অরোরা জানিয়েছেন, JN.1-এর সঙ্গে লড়তে কোনও আলাদা টিকা নিতে হবে না। বরং তিনি জোর দিয়েছেন সাবধানতায়। বিশেষ করে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সিদের মধ্যে যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে অথবা শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম করা ওষুধ খান তাঁদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত সর্বত্র বাধ্যতামূলক না হলেও ভিড় এলাকায় মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।