সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড়সড় বিপদের হাত থেকে বাঁচলেন ইন্ডিগোর ১৭৪ জন যাত্রী। পাটনার জয়প্রকাশ নারায়ণ বিমানবন্দর থেকে উড়ানের সময় হঠাৎ ধোঁয়া দেখতে পাওয়া যায় ইন্ডিগোর ৬ই-৪১৫ বিমানে। রানওয়েতে বিমানটি গতি নেওয়ার সময়ই বিষয়টি নজরে আসে। কম গতিতে থাকার কারণে খুব তাড়াতাড়ি ইঞ্জিন বন্ধ করে দেওয়া হয়। রানওয়ের ওপরই দাঁড়িয়ে পড়ে যাত্রী সমেত বিমানটি।
[প্রকাশ্যে এল জিএসটি ধার্য করা প্রথম বিল, জানেন কত কর চাপল?]
মিনিট খানেকের মধ্যেই সব যাত্রীদের একে একে বাইরে বের করে নিয়ে আসা হয়। আপৎকালীন দরজা দিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে নামানো হয় বিমান থেকে। যাত্রীরা প্রত্যেকেই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর। বিমানের কেবিনের মধ্যে প্রথম ধোঁয়া দেখতে পান বিমানেরই এক কর্মী। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন বিমানচালককে। পরবর্তী পদক্ষেপ বিমানচালকই স্থির করেন। প্রথমে মনে করা হয়েছিল বিমানের চাকায় গলদ রয়েছে। টায়ার ফেটেই এই ধোঁয়া বের হচ্ছে। পরে জানা যায় বিমানের কোনও চাকাতেই গলদ নেই। ধোঁয়া বের হচ্ছে ইঞ্জিন থেকে। গোটা বিষয়টিতে বিমান সংস্থার কোনও গাফিলতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে ডিজিসিএ বা ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন। তবে বিমানসংস্থা ইন্ডিগোর তরফ থেকেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কারণ বিমানটি যখন পাটনা আসে, তখনও পর্যন্ত বিমানে কোনও ত্রুটি ছিল না। গোটা ঘটনার অভ্যন্তরীণ চলবে বলে জানানো হয়েছে।
[GST-র জের, আরও সস্তায় মিলবে কেএফসি, পিজ্জা]
এদিকে বিমানের যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা সুশীল কুমার মোদি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামকৃপাল যাদব ও অন্যান্য বিজেপি নেতারা। মধ্যরাতে সংসদে জিএসটি পেশের সময় উপস্থিত থাকার জন্য পাটনা থেকে দিল্লিগামী বিমানটিতে ছিলেন তাঁরা। বিমানের এই যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য অন্যান্য উড়ানেও ব্যাঘাত ঘটে। রাঁচির বিরসা মুন্ডা বিমানবন্দরে আটকে পড়েন লালুপ্রসাদ যাদব। বিমানের উড়ান পরে স্বাভাবিক হলেও, প্রায় তিন ঘন্টা গোলযোগ চলে। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, লখনউ ও রাঁচিগামী ৬টি বিমান দেরীতে ছাড়ে। তবে উড়ান বাতিল করার কোনও তথ্য মেলেনি।
The post ইঞ্জিনে আগুন, কীভাবে ১৭৪ জন যাত্রীর প্রাণ বাঁচালেন বিমানচালক? appeared first on Sangbad Pratidin.