সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাথরাসে (Hatharas) সৎসঙ্গের অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ১২১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় গোটা দেশে আলোচিত হচ্ছে ভোলে বাবার নাম। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এখনও স্বঘোষিত এই ধর্মগুরুকে অভিযুক্ত হিসাবে দেখাতে রাজি নয়। কিন্তু তাঁকে ঘিরে নানা কথা শোনা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যোগীরাজ্যের লখিমপুর খেরিতে সন্ধান মিলল বাবার এক আস্তানার। ২০১৯ সালে শেষবার এখানে এসেছিলেন তিনি। সেখানে ধর্মগুরুর বিলাসবহুল গাড়ির সারি অথবা গুহার মতো ঘর দেখে তাক লাগবে যে কারও।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে সামনে এসেছে বাবার এই বিলাসব্যাসনের বিষয়টি। বছর পাঁচেক এখানে হয়েছিল সৎসঙ্গ। সেই সময় এখানেই দিন পনেরো ছিলেন বাবা। দেখা যাচ্ছে, রীতিমতো প্রকাণ্ড পার্কিং লটে এখনও রয়েছে দুটি বিলাসবহুল গাড়ি। পাশে রাখা আছে ম্য়াট্রেস এবং বাবার অতিকায় পোট্রেট। বাড়িটিতে রয়েছে ঝকঝকে রান্নাঘর। তার সঙ্গে যুক্ত একটি গুহার মতো বিরাট ঘর। আবার একটি হ্যান্ড পাম্প রয়েছে। ভক্তদের দাবি, সেখান থেকে নাকি 'অমৃত' ঝরে পড়ে। এই বাড়িরই একটি লুকনো ঘরে রয়েছে অলঙ্কৃত সোনার সিংহাসন এবং নারীমূর্তিও!
[আরও পড়ুন: ‘জয় ও ব্যর্থতা গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ’, পরাজিত সুনাককে সান্ত্বনা রাহুল গান্ধীর]
তবে পাঁচ বছরের মধ্যে আর এই অঞ্চলে আসেননি ভোলে বাবা। বলছেন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু সাম্প্রতিক দুর্ঘটনায় ফের নজরে ভোলে বাবার এই আস্তানাটিও। এদিকে এও জানা যাচ্ছে, শুধু ভক্তদের ভালবাসার দান নয়, উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতেও ভালোমতো যোগ ছিল ভোলে বাবার সংগঠনের। আর সেখান থেকে আসত বিপুল পরিমাণ টাকা। উত্তরপ্রদেশের হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে ১২১ জনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে উঠে আসছে এমনই চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।
এদিকে দুর্ঘটনার পর শনিবারই প্রথম ক্যামেরার সামনে দেখা গিয়েছে বাবাকে। তিনি বলেছেন, ''ঈশ্বর এই যন্ত্রণা সহ্য করার শক্তি দিন আমাদের। প্রশাসন ও সরকারের উপরে বিশ্বাস রাখুন। আমার বিশ্বাস, যার জন্য সেদিন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল সে নিস্তার পাবে না।''