সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফাস্ট ফুড খেতে ভালবাসেন না, এমন একজন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সুস্থ থাকতে যতই চিকিৎসকরা ‘জাঙ্ক ফুড’ খেতে বারণ করুন না কেন, একটু আধটু ‘চিট ডায়েট’ হয়েই যায়। আর যদি হাতের সামনে জিভে জল আনা পিৎজা (Pizza) থাকে, তাহলে লোভ সামলানো সত্যিই মুশকিল। ইতালিয়ান ফুড হিসাবে পরিচিত এই পিৎজা, জানেন এর রেসিপি প্রথম কবে এবং কোথায় আবিষ্কার হয়েছিল? বা যারা পিৎজা তৈরি করেন তাঁদের কে কী বলে? পিৎজা সম্পর্কিত খুঁটিনাটি অজানা কিছু তথ্য রইল আপনাদের জন্য।
১. দামি রেস্তরাঁতে পিৎজা খেয়ে মোটামুটি হাজার টাকার বিল তো করেই ফেলেন। জানেন, এটা আসলে ছিল নিম্নবৃত্ত, গরিবদের খাবার। ষোড়শ শতকের শুরুতে ইতালির নেপালস শহরে প্রথম এই খাবারের প্রচলন হয়। জানা যায়, এই শহরের খেটে খাওয়া নিম্নবৃত্তদের কাছে পিৎজা ছিল কম খরচের খাবার। পাউরুটির উপর শুধু টমেটো ও চিজ দিয়ে এই খাবার খেতেন নেপালসবাসীরা।
২. হালফিলে পিৎজা ( Pizza) শব্দের এত রমরমা হলেও, শব্দটি সামনে আসে দশম শতাব্দীতে। দক্ষিণ ইতালির লাজিওয়ের গায়েতা শহরে পিৎজা শব্দের প্রথম প্রচলন হয়।
৩. এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল, আমেরিকায় ৬৩ শতাংশ মহিলা পিৎজা পছন্দ করেন। আর ৭৮ শতাংশ পিৎজার সঙ্গে কোল্ড ড্রিঙ্কস নিতে পছন্দ করেন। কিন্তু জানেন কী, আমেরিকায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (WWII) আগে পর্যন্ত পিৎজা খাওয়ার প্রচলন ছিল না। যুদ্ধের সময় ইতালিতে (Italy) সৈন্যরা এই খাবার খেতেন। যা তাদের পছন্দ হয়। এবং তারপরেই আমেরিকাতেও পিৎজার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।
[আরও পড়ুন: মনের সুখে টমেটো সস খেতেই পারেন, এর কত গুণ জানেন?]
৪. আমেরিকার অ্যাগ্রিকালচার বিভাগের সমীক্ষা অনুযায়ী, ছয়জনের মধ্যে একজন (২-৩৯ বছর বয়সি) পুরুষ সকালের টিফিন, দুপুরের খাবার বা রাতের খাবার হিসাবে পিৎজা খেতে পছন্দ করেন। ভাবা যায়?
৫. ‘বেক’ পিৎজার থেকে স্কটল্যান্ডের মানুষ ‘ডিপ ফ্রাই পিৎজা’ খেতে বেশি পছন্দ করেন। আর যাঁরা পিৎজা তৈরি করেন তাঁদের বলে ‘পিৎজাইলো’।
৬. এখন মহাকাশেও পৌঁছে গিয়েছে পিৎজা। নভোচারিদের নাগালেও এখন পিৎজা। কারণ ২০১৩ সালে নাসা (Nasa) এমন একটি অত্যাধুনিক প্রোটোটাইপ থ্রিডি প্রিন্টার তৈরি করে যা সহজে খাবার তৈরি করতে পারে। সেই ডিভাইসে অনান্য খাবারের মধ্যে পিৎজা ছিল অন্যতম।