সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ২০ ওভারে ১৭১/৩ ( মনীশ ৬১, ওয়ার্নার ৫৭, এনগিডি ২/৩৫)
চেন্নাই সুপার কিংস: ১৮.৩ ওভারে ১৭৩/৩ (ঋতুরাজ ৭৫, ডু’প্লেসি ৫৬, রশিদ ৩/৩৬)
চেন্নাই সুপার কিংস সাত উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম ম্যাচে দিল্লির কাছে হারের পরই অনেকে ভেবেছিলেন, ফের একবার টুর্নামেন্টে খারাপ খেলবে মহেন্দ্র সিং ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) চেন্নাই সুপার কিংস (Chennai Super Kings)। কিন্তু না, আবারও চেনা ছন্দেই হলুদ জার্সিধারীদের দেখতে পেল আইপিএল। পাঞ্জাব, রাজস্থান, কলকাতা এবং ব্যাঙ্গালোরের পর এবার হায়দরাবাদকেও হারিয়ে দিল চেন্নাই। ওয়ার্নারদের দেওয়া ১৭২ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে তিন উইকেট হারিয়ে ৯ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ পকেটে পুরলেন ধোনিরা। চেন্নাইয়ের হয়ে দুরন্ত ব্যাটিং করলেন ঋুতরাজ গায়কোয়াড এবং ফাফ ডু’প্লেসি। ফলে কার্যত জলে গেল হায়দরাবাদ (Sunrisers Hyderabad) অধিনায়ক ওয়ার্নার এবং মনীশ পাণ্ডের ব্যাটিংও।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। কিন্তু প্রথমেই ধাক্কা খায় হায়দরাবাদ শিবির। কারণ মাত্র ৭ রান করেই আউট হয়ে যান জনি বেয়ারস্টো। যদিও তার আগেই একবার জীবনদান পেয়েছিলেন এই ইংরেজ ব্যাটসম্যান। তাঁর সহজ ক্যাচ ফেলে দেন চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। যা নিয়ে পরবর্তীতে সরগরম হয় ক্রিকেট দুনিয়াও। কী করে ধোনি ক্যাচ ফেললেন? সেই প্রশ্নও করতে দেখা যায় ক্রিকেট ভক্তদের। যদিও কিছু পরেই বেয়ারস্টো আউট হয়ে যাওয়া চেন্নাই শিবিরের চিন্তা আর বাড়েনি। এরপর অবশ্য দ্বিতীয় উইকেটের জন্য ১০৬ রান যোগ করেন ওয়ার্নার এবং মনীশ পাণ্ডে। ওয়ার্নার ৫৫ বলে ৫৭ রান করেন। অন্যদিকে, মনীশ পাণ্ডের সংগ্রহ ৪৬ বলে ৬১ রান। শেষদিকে, কেন উইলিয়ামসন (১০ বলে ২৬) এবং কেদার যাদবের সৌজন্য নির্ধারিত ২০ ওভারে চেন্নাইয়ের রান দাঁড়ায় তিন উইকেটে ১৭১। সুপার কিংসের সবচেয়ে সফল এনগিডি। ৩৫ রান দিয়ে দু’উইকেট পান তিনি।
[আরও পড়ুন: এর নামই বন্ধুত্ব, প্রাক্তন সতীর্থ কার্তিককে করোনার ওষুধের ব্যবস্থা করে দিলেন গম্ভীর]
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয় চেন্নাইয়ের। দুই ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড এবং ফাফ ডু’প্লেসি দুরন্ত মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন। ফাফের থেকেও ঋতুরাজ কিছুটা হলেও বেশি মারমুখী মেজাজে ছিলেন। দু’জনে মিলে ওপেনিং জুটিতে যোগ করেন ১২৯ রান। তাও আবার ওভার প্রতি দশ রানের রানরেটের সঙ্গে। শেষপর্যন্ত অবশ্য ৪৪ বলে ৭৫ রান করে রশিদ খানের বলে আউট হন ঋতুরাজ। ততক্ষণে অবশ্য তাঁর ব্যাট থেকে বেরিয়েছে ১২টি চার। আর ম্যাচও অনেকটাই চলে গিয়েছিল চেন্নাইয়ের পকেটে। এরপর ডু’প্লেসি (৫৬) এবং তিন নম্বরে নামা মঈন আলিকেও (১৫) আউট করেন সেই রশিদ। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি। শেষপর্যন্ত জাদেজা (৭) এবং রায়না (১৭) অপরাজিত থেকে সহজেই চেন্নাইকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। তাও আবার ৯ বল বাকি থাকতেই। হায়দরাবাদের হয়ে রশিদ খান তিনটি উইকেট পেলেও তা কাজে আসেনি। আর এই জয়ের ফলে বিরাটের ব্যাঙ্গালোরকে সরিয়ে ফের লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছল চেন্নাই।
যদিও এদিন ম্যাচে নামার আগেই পরিবারের দিক থেকে সুখবর পেয়েই গিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। জানা গিয়েছে, করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন ধোনির মা-বাবা। প্রসঙ্গত, দেশ জুড়ে বাড়তে থাকা করোনার প্রকোপের মাঝেই মারণ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের মা-বাবাও। যা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় ছিলেন ধোনির ভক্তরাও। তবে এবার তাঁদের সেই চিন্তা অনেকটাই দূর হল।