কলকাতা নাইট রাইডার্স: ২০ ওভারে ১৮৭/৬ (রানা ৮০, রাহুল ত্রিপাঠি ৫৩, রশিদ ২/২৪)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ২০ ওভারে ১৭৭/৫ (মনীশ পাণ্ডে ৬১*, বেয়ারস্টো ৫৫, প্রসিদ্ধ ২/৩৫)
কলকাতা নাইট রাইডার্স ১০ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতবার মাঝপথে অধিনায়ক বদলেও ভাগ্য খোলেনি। অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়েছিল প্লে-অফ। এবার শুরু থেকেই অধিনায়ক ইওন মর্গ্যান। আর বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের হাত ধরে IPL-14-র শুরুটা জয় দিয়েই করল কেকেআর (Kolkata Knight Riders)। নীতীশ রানা, রাহুল ত্রিপাঠির দুরন্ত ব্যাটিং এবং ডেথ ওভারে বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের দৌলতে ১০ রানে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে (Sunrisers Hyderabad) হারাল নাইটরা। ১৮৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ১৭৭ রানেই থামলেন ওয়ার্নাররা। ফলে কাজে এল না বেয়ারস্টো বা মনীশ পাণ্ডের দুরন্ত লড়াইও।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সানরাইজার্সের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। তবে কেকেআরের হয়ে শুরুটা ভালই করেন দুই ওপেনার নীতীশ রানা এবং শুভমন গিল। কিন্তু গিল ১৩ বলে ১৫ রান করে রশিদ খানের বলে আউট হয়ে যান। এরপর রানা এবং তিন নম্বরে রাহুল ত্রিপাঠি দুরন্ত ব্যাটিং করতে থাকেন। বেশ দ্রুত গতিতেই রান তুলতে থাকেন দুই নাইট ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় উইকেটের পার্টনারশিপে ঝোড়ো ৯৩ রান যোগ করেন দু’জনে। এই সময় অনেকেই ভেবেছিলেন টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই স্কোরবোর্ডে ২০০ রান তুলে ফেলবে কেকেআর।
[আরও পড়ুন: রিয়ালের কাছে হার, ম্যাচের পর টানেলে রেফারির সঙ্গে ঝামেলা বার্সা কোচের]
কিন্তু ১৬ তম ওভারে এই জুটি ভাঙতেই পরপর বেশ কয়েকটি উইকেট হারায় নাইটরা। প্রথমে ব্যক্তিগত ৫৩ রানে আউট হন ত্রিপাঠি। এরপর দ্রুত রাসেল (৫), রানা (৮০), মর্গ্যান (২) এবং শাকিবের (৩) উইকেট পড়ে যায়। তবে শেষদিকে দীনেশ কার্তিকের ৯ বলে অপরাজিত ২২ রানের ইনিংসের সৌজন্যে কেকেআরের রান দাঁড়ায় ২০ ওভারে ১৮৭/৬। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান নীতীশ রানার। মাত্র ৫৬ বলে ৮০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন তিনি। মারেন ৯টি চার এবং ৪টি ছয়।
২০ ওভারে ১৮৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুতেই অবশ্য জোড়া ধাক্কা খায় হায়দরাবাদ। অল্প রানেই ফিরে যান দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা (৭) এবং অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার (৩)। কিন্তু পালটা লড়াই শুরু করেন জনি বেয়ারস্টো এবং মনীশ পাণ্ডে। মাত্র ৪০ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন বেয়ারস্টো। তিনি আউট হয়ে যাওয়ার পর মহম্মদ নবিকে সঙ্গে নিয়ে রান তাড়া করতে থাকেন মনীশ। দুরন্ত অর্ধ-শতরানও করেন তিনি। বলতে গেলে এই সময় তিনিই হায়দরাবাদকে লড়াইতে রেখেছিলেন। কিন্তু রান রেট বাড়তে থাকায় চাপ আরও বাড়তে থাকে মনীশ পাণ্ডের উপর। এই সময়ই আবার আউট হয়ে যান মহম্মদ নবি। এদিকে, শেষ দু’ওভারে তখনও জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ছিল ৩৮ রান।
অনেকেই হয়তো ভাবছিলেন ম্যাচ থেকে বেরিয়ে গিয়েছে হায়দরাবাদ। তবে কামিন্সের ওভার থেকে ১৬ রান তোলে হায়দরাবাদ। ফলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২২ রান। শেষপর্যন্ত রাসেলের দুরন্ত বোলিংয়ে ১৭৭ রানে থেমে যায় হায়দরাবাদের ইনিংস। ফলে জয় দিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করল নাইটরা। কাজে এল না পাণ্ডের অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংসও। কেকেআর বোলারদের মধ্যে কেউই তেমন দাগ কাটতে না পারলেও ডেথ ওভারে নাইটদের হয়ে ভাল বোলিং করেন সেই আন্দ্রে রাসেলই।