shono
Advertisement

দিল্লি বিস্ফোরণের পিছনে কি ইরানের হাত? ক্রমশ জোরাল হচ্ছে জল্পনা

ইজরায়েলকে 'শিক্ষা' দিতেই বিস্ফোরণ?
Posted: 12:21 PM Jan 31, 2021Updated: 12:32 PM Jan 31, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির (Delhi) ইজরায়েলী দূতাবাসের (Israel embassy) সামনে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে জইশ-উল-হিন্দ (Jaish Ul Hind)। কিন্তু চক্রান্তের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। তবে প্রাথমিক তদন্তের পর এর সঙ্গে ইরান যোগের সম্ভাবনা ক্রমেই উজ্জ্বল হচ্ছে। বিস্ফোরণস্থল থেকে সামান্য দূরে পাওয়া এক চিঠি থেকে সেই ধারণা জোরাল হয়েছে। ইজরায়েলকে ‘শিক্ষা’ দিতেই ওই বিস্ফোরণ কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে শুক্রবারের বিস্ফোরণের তদন্তভার নিতে চলেছে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা NIA।

Advertisement

ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া মুখ বন্ধ খামের চিঠিতে ইজরায়েলী দূতাবাসের সামনের বিস্ফোরণকে ‘ট্রেলার’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিস্ফোরণের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে কাশেম সোলেমানি ও মহসিন ফকরিজাদে নামে দু’জনের উল্লেখ রয়েছে। প্রথম জন ইরানের শীর্ষস্থানীয় মিলিটারি কমান্ডার। দ্বিতীয় জন পরমাণুবিজ্ঞানী। ২০২০ সালে তাঁদের মৃত্যুর পিছনে আমেরিকা ও ইজরায়েলকে দায়ী করেছিল ইরান (Iran)। দিল্লির বিস্ফোরণ সেই হত্যার বদলারই ‘ট্রেলার’ কিনা আপাতত সেটা নিয়েই ভাবছেন তদন্তকারীরা। এদিকে জইশ-উল-হিন্দ নামের কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম এতদিন পর্যন্ত অজানাই ছিল। কোন টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে মেসেজটি করা হয়েছে, গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন সেই দিকটিও।

[আরও পড়ুন: কৃষক আন্দোলনে যোগ না দিলে মোটা টাকা জরিমানা! পাঞ্জাবের গ্রামে জারি ফতোয়া]

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্তার দাবি, ভারতের সঙ্গে ইরান ও ইজরায়েল, দুই দেশেরই বন্ধুর সম্পর্ক। কিন্তু তদন্তের পর কোনও দেশের বিরুদ্ধে মজবুত প্রমাণ পাওয়া গেলে ভারত তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে। ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে গত কয়েক সপ্তাহে ইরান থেকে কারা কারা রাজধানীতে এসেছিলেন। এসম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে ইরানের দূতাবাসের কাছ থেকে। এদিক ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত মালকা জানিয়েছেন, ওই বিস্ফোরণের ঘটনা তাঁদের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল না। কেননা আগেই এই ধরনের নাশকতার ‘হুমকি’ দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে শুক্রবার বিকেল ৫টা নাগাদ দিল্লিতে ইজরায়েলের দূতাবাসের সামনে ওই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় কেউই হতাহত না হলেও আশপাশের বহু গাড়ির উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ফরেনসিক তদন্তের পর উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিস্ফোরণে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আইইডি-তে আরডিএক্স থাকলে বিস্ফোরণে আরও বেশি ক্ষতি হতে পারত। স্প্লিন্টার হিসেবে বোমাটিতে ছিল বল বিয়ারিং।

[আরও পড়ুন: জুনের মধ্যে আরও এক কোভিড ভ্যাকসিন আনছে সেরাম! টুইট করে জানালেন পুনাওয়ালা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement