সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবারই ইজরায়েলের উপর একযোগে হামলা চালাতে পারে ইরান এবং হেজবোল্লা! জি-৭ দেশগুলোকে এই কথা জানিয়েছেন মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এমনটাই দাবি করেছে একটি মার্কিন সংবাদপত্র। অন্যদিকে ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হামলা চালানোর আগেই ইরানের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাবে তেল আভিভ।
এই মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধের আবহ। ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে কোনও ছায়াযুদ্ধ নয়, সরাসরি সংঘর্ষ শুরু হওয়া সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। মনে করা হচ্ছে, পুরোদস্তুর লড়াই বাঁধল বলে। ইরানের পাশে রয়েছে হামাস ও হেজবোল্লার মতো জঙ্গি গোষ্ঠীও। এহেন পরিস্থিতিতে জি-৭ সদস্যভুক্ত দেশগুলোকে সতর্ক করে মার্কিন বিদেশ সচিব জানিয়েছেন, হয়তো সোমবারেই ইজরায়েলে সরাসরি হামলা করতে পারে ইরান। তাদের সঙ্গী হতে পারে লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী হেজবোল্লাও।
[আরও পড়ুন: ‘অশান্ত বাংলাদেশে যাবেন না’, ভারতীয়দের কড়া নির্দেশ বিদেশমন্ত্রকের]
অন্যদিকে ইজরায়েলের এক প্রথমসারির সংবাদপত্রের দাবি, ইরানের হামলা ঠেকাতে বিশেষ স্ট্র্যাটেজি নিতে পারে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। সূত্রের খবর, ইরানের সম্ভাব্য হামলার খবর পেয়েই গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ এবং শিন বেটের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নেতানিয়াহু। সেখানে হাজির ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং ইজরায়েলি সেনার প্রধান হার্জি হালেভি। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ইরান হামলা চালানোর আগেই ইজরায়েলের তরফে আক্রমণ শানানো হতে পারে। তাহলে পালটা আঘাত হানতে পারবে না ইরান।
যদিও ইরানের তরফে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, কেবল সামরিক ঘাঁটি নয় ইজরায়েলের একাধিক এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে হেজবোল্লা। দিনকয়েক আগে ইজরায়েলি হামলায় নিকেশ হন হেজবোল্লার কমান্ডার। তার পালটা দিতেই হামলা করবে লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী। এদিকে বরাবরই রণং দেহি নেতানিয়াহু জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের দেশে হামলা করলে কড়া মূল্য চোকাতে হবে। এহেন পরিস্থিতিতে সোমবার আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে মধ্যপ্রাচ্য, আশঙ্কায় গোটা বিশ্ব।