কৃষ্ণকুমার দাস: করোনা আবহে দীপাবলি ও ভাইফোঁটার মিষ্টি (Sweet) এবং খাবারের গুণগতমানও সরজমিনে পরীক্ষা করে দেখবে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। দেখা হবে নানা রেস্তরাঁর তৈরি রান্না খাবারের বিশুদ্ধতা, ব্যবহৃত মশলার গুণমান। দুর্গাপুজোর মতো এবারও পুরসভার প্রতিটি বরোতেই ফুড ইনস্পেক্টরদের নিয়ে তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে টিম পুরভবনেই থাকবে একটি কেন্দ্রীয় দল।
জানা গিয়েছে, পুরসভার তরফে নাগরিকদের কাছে আবেদন করা হয়েছে, যদি কারও কোনও মিষ্টি বা কোনও রেস্তরাঁর রান্নার খাবারের গুণমান নিয়ে অভিযোগ থাকে তা হলে সরাসরি অভিযোগ জানানোর জন্য। উপযুক্ত তথ্য ও প্রমাণ দিয়ে পুরসভার ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরিতে খাবার বা মিষ্টির নমুনা জমা দেওয়া যাবে। স্বাস্থ্যবিভাগেও দেওয়া যাবে জমা। পুরসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশাসক প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ শুক্রবার জানিয়েছেন, “পুজোর সময় নানা ওয়ার্ডে খাবারের গুণমান পরীক্ষা করতে পুরসভার ইনস্পেক্টররা ঘুরেছেন। ২০৪টি রেস্তরাঁর খাবার পরীক্ষা করেছেন। ১৯৫টি রেস্তরাঁ থেকে রান্না খাবারের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে একটি রেস্তরাঁর মান যথেষ্ট খারাপ বলে পুরসভার ল্যাবরেটরি থেকে রিপোর্ট এসেছে। অভিযুক্ত রেস্তরাঁর বিরুদ্ধে পুরআইন মেনে ব্যবস্থা হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া, শিয়ালদহ শাখায় দৈনিক বেশি সংখ্যক ট্রেন চালাতে রাজি রেল]
উল্লেখ, কেন্দ্রীয় ফুড কমিশনারের নির্দেশের জেরে এখন শহরের বহু মিষ্টির দোকানে মিষ্টান্নের উপর ‘এক্সপায়ারি ডেট’ বা ‘বেস্ট বিফোর’ লেখা থাকছে। পুরসভার স্বাস্থ্যদপ্তর ধাপে ধাপে মিষ্টান্নের ক্ষেত্রে এই আইনটি কার্যকর করার পক্ষে কাজ শুরু করেছে।