সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দৃঢ়চেতা। বৈপ্লবিক নেত্রী। শক্ত মনের মানুষ। তুখোড়া রাজনীতিবিদ। কঠিন প্রতিপক্ষ। এরকমই নানা বিশেষণ আজ তাঁকে সাজিয়ে তুলছেন বহু মানুষ। কিন্তু এসবের বাইরেও বোধহয় থেকে গিয়েছে একজন একা রমণীর কথা। অভিনেত্রী থেকে রাজনীতি- দুই ক্ষেত্রেই খ্যাতির শীর্ষে উঠেও একাকিত্ব যেন ছিল প্রয়াত জয়ললিতার চিরসঙ্গী।
সিমি গেরওয়ালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, প্রকাশ্যে কখনও তিনি চোখের জল ফেলেননি। নিজেকে শক্ত করেই তৈরি করেছিলেন। তবে সেটা রাজনীতিতে আসার পর। সিমির প্রশ্ন ছিল, রাজনীতি তাঁকে কতটা বদলে দিয়েছে? তার উত্তরেই জয়ললিতা জানিয়েছিলেন, অনেকটাই। রাজনীতিতে আসার আগে তিনি ছিলেন লাজুক। অভিনেত্রী হিসেবে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থেকেও লাইমলাইট কখনও পছন্দ করতেন না। কিন্তু রাজনীতির ময়দান সেই পুরনো জয়ললিতাকে বদলে দিয়েছিল। করে তুলেছিল অনেকটা কঠোর। তবে যে ক্ষেত্রেই থাকুন না কেন, নিজের আবেগকে কখনও তিনি প্রকাশ্যে আনেননি। কখনও তাই চোখের জলও ফেলেননি। তাঁর আবেগ প্রদর্শনের জন্য নয়, এমনটাই জানিয়েছিলেন আম্মা। নিজের উপর বিশ্বাস আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতাতেই ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতির জীবনকে একেবারে অন্তরালে পাঠিয়ে দিতে পেরেছিলেন তিনি।
রাজনীতির ময়দানে বারবার হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। মেন্টর এমজিআর-এর শেষযাত্রায় চরম অপমান করা হয়েছিল তাঁকে। জুটেছিল অপবাদও। কিন্তু তিনি ভেঙে পড়েননি। কখনও প্রকাশ্যে মেজজাও হারাননি। বরং অপমানের আগুনে নিজেকে শুদ্ধ করেই তৈরি করেছিলেন। আর সে কারণেই আজ বোধহয় গোটা তামিলনাড়ু কাঁদছে তাঁর চলে যাওয়ায়।
The post প্রকাশ্যে কখনও কাঁদিনি, জানিয়েছিলেন আম্মা appeared first on Sangbad Pratidin.