মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আখেরে বিজেপিরই সুবিধা করে দিচ্ছেন- এই রাজনৈতিক তত্ত্বের আমি সমর্থক নই। বরং আমার মনে হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব ভাল করেই জানেন যে, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে মোদিবিরোধী কোনও সরকার গঠন হবে না। কংগ্রেসেরই বরঞ্চ উচিত মমতার দিকে করমর্দনের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। বিরোধী ঐক্য নিয়ে বোঝাপড়ার পথে যাওয়া। লিখছেন জয়ন্ত ঘোষাল
বঙ্গে রাজ্য কংগ্রেস নেতারা অনেকেই বলতে শুরু করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে একটা রাজনৈতিক ‘সেটিং’ হয়েছে। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক বৈঠকের পরই প্রকাশ্যে এই ধরনের বিবৃতি এবং প্রতিক্রিয়া কংগ্রেস শিবির থেকে শুনতে পেলাম। আমার মনে হয়, মোদি এবং মমতা- এঁদের মধ্যে রাজনৈতিক ‘সেটিং’ হওয়া কার্যত অসম্ভব। কেন একথা বলছি?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দলের কান্ডারি। যে-দলের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হল, পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের ক্ষমতায় নিয়ে আসা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যখন দলের রাজ্য সভাপতি হয়েছিলেন, তখন তাঁর করা প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম। তিনি বলেছিলেন, বিজেপি তখনই যথাযথভাবে নিজেদের ‘প্যান ইন্ডিয়া পার্টি’ বলে দাবি করতে সক্ষম হবে, যখন পশ্চিমবঙ্গ তথা পূর্বাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চল আর অন্যদিকে দক্ষিণ ভারতে থাবা বসাতে পারবে। অর্থাৎ, বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় নিয়ে আসা দলের দীর্ঘদিনের ‘আনফিনিশ্ড অ্যাজেন্ডা’। পূর্বাঞ্চল তথা পূর্বের অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের অগ্রাধিকার আরও বেশি এই কারণে যে, ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা, এ-রাজ্যেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এমনকী, তিনি ফজলুল হকের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন একদা। সেই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি এখনও তার প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। এই দুঃখ অটলবিহারী বাজপেয়ী তথা লালকৃষ্ণ আদবানিরও ছিল। তাই ২০২১-এ মোদির বিজেপির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পর্যুদস্ত হওয়ার পরও কিন্তু বিজেপি ভাবেনি যে, ‘রইল ঝোলা, চলল ভোলা’। বরং তারা ৩৫৬ ধারা জারি করে রাষ্ট্রপতি শাসন করার পক্ষে।
[আরও পড়ুন: ফের আসছে মৃত্যুদূত, আমরা প্রস্তুত তো?]
অন্যদিকে দেখুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি এই মুহূর্তে কী চাইছেন? তাঁর রাজনৈতিক লক্ষ্য হল, ২০২১-এ যে বিপুল জয়লাভ হয়েছে, বঙ্গে তার ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রাখা। ২০১৯-এ বিজেপি যে ১৮টি আসন করায়ত্ত করেছিল, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে সেই আসনগুলো আবার ফিরে পাওয়া এবং ২০২৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে পরাস্ত করাও তাঁর লক্ষ্য। তার জন্য সবক’টি বিরোধী দলকে একত্র করা দরকার। আর মোদির ‘বিকল্প’ হিসাবে দেশজুড়ে ইতিমধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হয়ে উঠেছেন। তাঁর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সেটা পরের কথা, কিন্তু আপাতত সমস্ত বিরোধী দলগুলিকে সক্রিয় করে মোদি-বিরোধী রাজনৈতিক অভিমুখে নিয়ে আসা প্রয়োজন।
এতক্ষণ যে দুই ব্যক্তিত্বের রাজনৈতিক লক্ষ্য এবং অভিলাষের কথা বললাম, তার ভিত্তিতে কি আপনাদের মনে হয়, কোথাও কোনও গরমিল আছে? ২০২৪ পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী থাকতেই পারেন এবং ২০২১ থেকে আরও পাঁচ বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারেন। কিন্তু তাই বলে দু’জনের মধ্যে রাজনৈতিক ‘সেটিং’ হলে কি তাঁদের রাজনৈতিক লক্ষ্যপূরণ হবে? সিবিআই তদন্তের ভয়ে যদি এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপস করতেন, তাহলে তো সেটা তিনি ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগেই করতে পারতেন। যখন মুকুল রায় বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন, তখনও তিনি এই কাজ করতে পারতেন। বরং, বিধানসভা নির্বাচনের সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের আক্রমণাত্মক ভূমিকার পরও যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল ভোট পেয়েছে, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেছেন যে, অভিষেকের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের অভিযান বিজেপির জন্য অনেক বেশি নেতিবাচক হয়েছে। তাতে বিজেপির ফায়দার চেয়ে লোকসানই বেশি হয়েছে। এতে বরং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল কংগ্রেস ‘ভিকটিম’-এর স্টেটাস পেয়েছে।
তাহলে বিজেপির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সেটিং’-এর কাহিনিটা জন্ম নিচ্ছে কোথা থেকে? কংগ্রেস নেতাদের যুক্তি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে এখন কংগ্রেসের বিরোধিতা করতে শুরু করেছেন, কংগ্রেসকে সঙ্গে নিচ্ছেন না, কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী ঐক্যের কথা বলছেন না, বহু কংগ্রেস নেতাকে তৃণমূল কংগ্রেসে গ্রহণ করছেন এবং যেসব রাজ্যে তৃণমূল নেই, সেসব রাজ্যেও কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে যাচ্ছে- তাতে কংগ্রেসের ক্ষতি হচ্ছে। কংগ্রেসের যুক্তি, কংগ্রেস যদি দুর্বল হয়, তাতে তো বিজেপির লাভ। কেননা, তাদের মতে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রধান বিরোধী দল এখনও কংগ্রেস। সুতরাং, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা করছেন, তাতে তিনি আখেরে বিজেপিরই সুবিধা করে দিচ্ছেন। আর কংগ্রেস নেতাদের এই যুক্তিক্রম থেকেই রাজনৈতিক ‘সেটিং’-এর প্রসঙ্গ এসে যাচ্ছে।
এই রাজনৈতিক তত্ত্বের আমি সমর্থক নই। আমার মনে হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব ভাল করেই জানেন যে, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে মোদি-বিরোধী কোনও সরকার গঠন হবে না বা তিনি সেটা করতে চান, এমনও নয়। কংগ্রেসের একটা রাজনৈতিক পরিসর আছে, তার একটা ভোটব্যাঙ্ক আছে এবং রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের মতো বেশ কিছু রাজ্যে এখনও লড়াইটা কংগ্রেস বনাম বিজেপি, তা বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক মেরুকরণের রণক্ষেত্র। যেখানে কিনা তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সংগঠন তো সেভাবে এখনও গড়ে ওঠেনি। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠবে, এতদ্সত্ত্বেও মমতা এটা করছেন কেন?
প্রথমত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন যে, লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এ, তার আগে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন এবং সেই বিধানসভা নির্বাচনের পরই মূলত মোদি-বিরোধী রাজনৈতিক কার্যকলাপ আরও দানা বাঁধবে, নানারকমের কর্মসূচি গৃহীত হবে। কিন্তু অন্যান্য রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের কতটা সাংগঠনিক বিস্তার সম্ভব, তা পরখ করে দেখার সময় এইটাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ওভার অ্যাম্বিশাস’ কোনও ইউটোপিয়ায় যে ভুগছেন না, তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি কোনও প্রার্থী দিচ্ছেন না। তিনি গোয়ায়, ত্রিপুরায়, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু রাজ্যে ভোটের রাজনীতিতে অংশ নিচ্ছেন। কংগ্রেসের যেসব নেতা তৃণমূলে আসতে চাইছেন, তাঁরা সংখ্যায় অনেক, কিন্তু তাঁদের মধ্যে কিছু কিছু জনকেই মমতা নিজের দলে আনছেন। এক-একটা রাজ্যে তাঁদের কিছু পরিচিতি আছে, সেই পরিচিতিটাকে মূলধন করেই তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠন বাড়াতে চাইছে। তৃণমূল কংগ্রেস একটি আঞ্চলিক দল, আর আঞ্চলিক দল হিসাবে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তার পরিসর বাড়ানোর অধিকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রণকৌশল হল- রাজ্যে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন বাড়ানো। কিন্তু সংগঠনের থেকেও বড় কথা হচ্ছে, এই মুহূর্তে ‘মোদি-অমিত শাহকে হারানো যায় না’- এই মিথটাকে ভেঙে দিয়ে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদির পর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন, সেই ‘ব্র্যান্ড ইকুইটি’-কে মূলধন করে একটা বিকল্প রাজনৈতিক আবহ গড়ে তোলা।
বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং তো একটা সময় ঠিক এমনভাবেই রাজ্যে রাজ্যে ঘুরে তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক মর্যাদা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে চেয়েছিলেন। এলাহাবাদের উপনির্বাচনে সুনীল শাস্ত্রীকে পরাস্ত করার পর বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং জনমোর্চা গঠন করেছিলেন। কিন্তু বিশ্বনাথ প্রতাপের সেই জনতা দলের রাজ্যওয়াড়ি অস্তিত্ব কতটুকু ছিল? তিনি একদিকে বাম দল, অন্যদিকে বিজেপি- প্রত্যেককে নিয়ে একটা জোট সরকার গঠন করেছিলেন। ‘মণ্ডল’ এবং ‘কমণ্ডল’-এর বিবাদের পরে তা হয়তো স্থায়ী হয়নি, কিন্তু তিনি প্রধানমন্ত্রীর কুরসি পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হবেন, এ-কথা আমি বলছি না, আবার প্রধানমন্ত্রী কখনওই হতে পারবেন না- এমন কোনও নির্দেশ্যবাদী (Deterministic) বিবৃতি দেওয়ার পক্ষেও আমি নই।
কিন্তু একথা তো ঠিক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশজুড়ে বিজেপির একটা ‘বিকল্প’ ব্র্যান্ড ইকুইটি হিসাবে বিকশিত হয়েছেন। যেখানে নাগরিক সমাজ, পাবলিক ইন্টেলেকচুয়াল, সবাই সমবেতভাবে এগিয়ে আসছেন। এখন যদি রাহুল গান্ধী খুব সক্রিয় হতেন এবং তিনি কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে অথবা অন্য কাউকে কংগ্রেস সভাপতি করে রাজ্যওয়ারি মোদিকে তুর্কিনাচন নাচাতেন, তাহলে বিষয়টা এরকম হত না।
এখন দেখা যাচ্ছে যে, তেজস্বী যাদব রাহুল গান্ধীর উপর যথেষ্ট ‘চটিতং’ হয়ে আছেন। তাঁর মনে হয়েছে যে, যদি তিনি কংগ্রেসকে কম আসন দিতেন, তাহলে হয়তো তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন। তামিলনাড়ুর স্ট্যালিনেরও সেই একই অবস্থা। কংগ্রেস একটা ‘লায়াবিলিটি’-তে পরিণত হয়েছে। অখিলেশের সঙ্গে তো কংগ্রেসের এবার জোট হল না। মহারাষ্ট্রে এনসিপি-র সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক কী- সে তো আমরা চোখের সামনে দেখতেই পাচ্ছি। তাহলে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আলাদা করে এ-কথা কেন বলা হচ্ছে? কংগ্রেসের সঙ্গে তো প্রত্যেকটা আঞ্চলিক দলের সম্পর্কই অধঃপতিত।
শরদ পাওয়ার সেই কারণেই বলছিলেন যে, জমিদারি মানসিকতা কংগ্রেসকে পরিত্যাগ করতে হবে এবং আঞ্চলিক দলগুলোর গুরুত্বকে স্বীকার করতে হবে। সেদিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘কেষ্টা বেটাই চোর’ আখ্যা দিয়ে, তাঁকে কংগ্রেস-বিরোধী সাজিয়ে, তাঁর সঙ্গে বিজেপির সঙ্গে ‘সেটিং’ হয়ে গিয়েছে- এই তত্ত্ব প্রচার করাটা কি উচিত কাজ? না কি এত বছরের একটা রাজনৈতিক দল হিসাবে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বেরও মমতার দিকে করমর্দনের হাত বাড়িয়ে দেওয়াটা উচিত ছিল? যদি মোদি এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়তে হয়, তাহলে তো মমতাকেও সঙ্গে নিতে হবে। যেখানে সীতারাম ইয়েচুরি পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে লড়ার কথা বলছেন, সেখানে রাহুল গান্ধী সেটা কেন বলতে পারছেন না?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটে জেতার পরও রাহুল গান্ধীর টুইট করতে দু’দিন সময় লেগে গিয়েছে। এমন তো কখনও দেখলাম না যে, রাহুল গান্ধী ফোনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলছেন। বয়সে ছোট, অভিজ্ঞতায় রাহুল মমতার থেকে অনেক পিছিয়ে। রাহুলের এখনও পর্যন্ত মন্ত্রিত্বের অভিজ্ঞতাই নেই। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাতবার লোকসভায় জিতেছেন, তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটা ফোন করে ‘বিরোধী ঐক্য’ নিয়ে একটা বোঝাপড়ার পথে কি যাওয়া যেত না? মনে রাখতে হবে, ‘বিরোধী ঐক্য’ বিষয়টা কিন্তু ওয়ান ওয়ে ট্রাফিক নয়, টু ওয়ে ট্রাফিক।