সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) আমলে ভারত পরিচিত ছিল স্পিন বোলিংয়ের খ্যাতির জন্য। সেসময় স্পিনারদের থেকে বেশ খানিকটা পিছিয়েই ছিলেন পেসাররা। কোহলির আমলে ভারতের সুনাম পেস আক্রমণের জন্য। এই মুহূর্তে ভারতের পেস বিভাগ বিশ্বের অন্যতম সেরা। কিন্তু, এই পরিবর্তন কীভাবে হল? টিম ইন্ডিয়ার পেস ব্যাটারির অন্যতম সদস্য ইশান্ত শর্মা (Ishant Sharma) বলছেন, “কোহলির আমলে আমাদের অভিজ্ঞতা বেড়েছে। একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ অনেক বেড়েছে। যেটা ধোনির আমলে ছিল না। রোটেশন পদ্ধতির জন্য পেসাররা উপযুক্ত সময় পেত না। অভিজ্ঞতাও কম ছিল।”
ধোনির নেতৃত্বে প্রচুর টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন ইশান্ত। কোহলির নেতৃত্বেও টেস্ট খেলছেন। ইশান্তের দাবি, আগে ছয় থেকে সাত জন বোলারকে রোটেশনে ব্যবহার করা হত। এখন সেখানে তিন থেকে চারজনকে রোটেশনে ব্যবহার করা হয়। এ প্রসঙ্গে ইশান্ত জানিয়েছেন, ধোনির সময় তাঁদের অভিজ্ঞতা খুব বেশি ছিল না। ফাস্ট বোলারদেরও রোটেশনের ভিত্তিতে খেলানো হত। ফলে ধারাবাহিকভাবে বোলিং ইউনিট হিসাবে সাফল্য আসত না। এখন তাঁদের অভিজ্ঞতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। পরস্পরকে সাহায্যও করতে পারেন অভিজ্ঞতার দ্বারা। সেই কারণে বোলিং ইউনিট হিসাবে সাফল্য এসেছে।
[আরও পড়ুন: রিহ্যাবের জন্য NCA-তে যেতেই হবে ক্রিকেটারদের, কড়া সিদ্ধান্ত সৌরভের]
দিল্লিতে রনজি ট্রফির ম্যাচ খেলেত গিয়ে ইশান্ত বলেন, “দেখুন ধোনির সময় আমরা এতটা অভিজ্ঞ ছিলাম না। তাছাড়া, প্রচুর রোটেশন করা হত। তাই সাফল্য আসত না। কিন্তু, যখন বিরাট (Virat Kohli) দায়িত্ব নিল ততদিনে আমরা অনেক অভিজ্ঞ হয়ে গেছি। সেটা সাহায্য করেছে। আর এখন মাত্র ৩-৪ জন বোলার নিয়মিত খেলছি। এতে একে অপরকে সাহায্য করা যায়।”
[আরও পড়ুন: ক্রিসমাসের রাতে মহিলাদের সঙ্গে অভব্যতা, বড়সড় শাস্তির মুখে দুই ক্রিকেটার ]
২০০৭ সালে রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে অভিষেক হয় ইশান্তের। এরপর তিনি খেলেন অনিল কুম্বলের অধীনে। তারপর ধোনি হয়ে এখন খেলছেন বিরাটের নেতৃত্বে। ৩১ বছর বয়সী এই পেসার দেশের হয়ে ইতিমধ্যেই ৯৬টি টেস্ট খেলে ফেলেছেন। পেসারদের মধ্যে অন্যতম সেরাদের তালিকাতেই নাম যায় তাঁর। জাতীয় টেস্ট দলে তরুণদের ভিড়েও তাঁর উপর ভরসা রাখেন বিরাট। দলে নিয়মিত। সুতরাং, ইশান্ত যে অভিযোগ করছেন। তা নেহাতই ফেলনা নয় বলেই মনে করছে ক্রিকেট মহল।
The post ‘রোটেশন পদ্ধতির জন্যই দুর্গতি ছিল বোলারদের’, ধোনিকে তোপ ইশান্ত শর্মার appeared first on Sangbad Pratidin.