সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে আগের ম্যাচটাই ড্র করেছে এটিকে মোহনবাগান। বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে খেলা অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাসের দলের। সেই ম্যাচে জয়ের খোঁজে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে রয় কৃষ্ণ, অরিন্দম ভট্টাচার্যদের প্রস্তুতি।
গোয়ার বিরুদ্ধে দুরন্ত ফ্রি কিকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন এডু গার্সিয়া। কিন্তু সেই গোল ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ফলে ম্যাচ ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় হাবাসের দলকে।
গত বছর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে হাবাস ব্রিগেডের পয়েন্ট ছিল ১১ ম্যাচে ২১। এবারও ঠিক একই জায়গায় এটিকে মোহনবাগান। চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে নামার আগে দলের ভরসা এডু গার্সিয়া বলছেন, “গোল নয়, আমার কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দলের জয়। ভাল গোল করলে আনন্দ হয় ঠিকই কিন্তু ম্যাচ জিতলে সেটা মর্যাদা পায়। সেদিন গোয়ার বিরুদ্ধে জিততে পারলে খুশি হতাম।”
[আরও পড়ুন: ভারতের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পরই ট্রেন্ডিং রাহুল দ্রাবিড়, কুর্নিশ জানাচ্ছে নেটদুনিয়া]
গোয়ার বিরুদ্ধে ড্রয়ের আগে মুম্বই সিটির কাছে হারতে হয়েছিল এটিকে মোহনবাগানকে। আগের দুটো ম্যাচের স্মৃতি মন থেকে মুছে ফেলে চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে নামতে চাইছেন গার্সিয়া। তিনি বলছেন, “আমরা যে দুটি দলের সঙ্গে পাঁচ পয়েন্ট নষ্ট করেছি, তারা এই প্রতিযোগিতায় সেরা দুটি ক্লাব। তবুও আমরা কিন্তু লিগ টেবলের দুই নম্বরে। আগের ম্যাচগুলোয় কী হয়েছে, তা নিয়ে ভাবতে রাজি নই। সামনে চেন্নাইয়িন ম্যাচ। সেটায় জেতার কথা ভাবছি। ম্যাচ ধরে ধরে এগতে চাই।”
হাবাসের দলের ডিফেন্স খুবই জমাটি। ১১ ম্যাচে এখনও পর্যন্ত এটিকে মোহনবাগানের গোলে বল ঢুকেছে মাত্র ৫ বার। সেই প্রসঙ্গে গার্সিয়া বলছেন, “গোল না খেলে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়ে। গতবারের মতো গোল আমরা এখনও করতে পারিনি। এই দিকটায় আমাদের আরও উন্নতির দরকার।” গোয়ার বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেও পুরো তিন পয়েন্ট ঘরে না আসায় আফশোস রয়েছে প্রবীর দাশের। তিনি বলছেন, “গোয়া যথেষ্ট ভাল দল।ওদের বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও জিততে পারিনি বলে আফশোস রয়েছে। কিন্তু পরপর দুই ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করার জন্য আমাদের আক্ষেপ থাকলেও চিন্তিত নই।” এটিকে মোহনবাগান ড্রেসিং রুমে চাপ নেই। পরের ম্যাচে জয়ে ফিরবে দল, এমনটাই বিশ্বাস সবার। প্রবীর অবশ্য মানছেন, গোয়ার বিরুদ্ধে ভাগ্য তাঁদের সঙ্গ দেয়নি। একাধিক বার বল ক্রস পিস বা পোস্টে লেগে ফিরে এসেছে।
চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষাতে ড্র করেছিলেন প্রবীররা। এবার ম্যাচটা জিততে চাইছেন তাঁরা। হাবাসের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুভাশিস বসু তাঁর কোচের স্ট্র্যাটেজি প্রসঙ্গে বললেন, ”আমাদের কোচের স্ট্র্যাটেজি হল ম্যাচ ধরে ধরে এগনো। এখন আমরা শুধু চেন্নাইয়িন ম্যাচ জেতার কথাই ভাবছি। এখনও ন’টি ম্যাচ বাকি। আমাদের মতো অন্য দলেরও আট বা ন’টা ম্যাচ বাকি রয়েছে। একটা বা দুটো ম্যাচ লিগ টেবিলের পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে।” লম্বা লিগে অনেক অঙ্ক কষে খেলতে হয়। তিন পয়েন্টের জন্য অল আউট আক্রমণে গিয়ে ম্যাচ হারার কোনও যুক্তি নেই হাবাসের ছেলেদের কাছে। শুভাশিস বলছেন, “তিন পয়েন্ট না পেলেও এক পয়েন্ট নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরতে পারলে তাতে সুবিধাই হয়। আমাদের কোচও সেটাই বলেন। ম্যাচ হেরে ফেরা চলবে না। রক্ষণ জমাট করে পালটা আক্রমণে গোল তুলে নেওয়াই আমাদের লক্ষ্য থাকে।” বোঝাই যাচ্ছে চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধেও এই নীতি নিয়েই খেলবে এটিকে মোহনবাগান।