স্টাফ রিপোর্টার : একটা দলের অবস্থান ১৪ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের সবচেয়ে নিচে। অন্য দল সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। সবচেয়ে নিচে থাকা দল যদি ওড়িশা এফসি (Odisha FC) হয় তাহলে অপর দলটি হল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। তবু সবুজ-মেরুন শিবিরের কান্ডারি আন্তোনিও লোপেজ হাবাস শীর্ষ স্থানাধিকারী মুম্বইয়ের সঙ্গে ওড়িশার কোনও পার্থক্য দেখছেন না। তাঁর কাছে সব দল একইরকম ভয়ংকর। এর পাশাপাশি তিনি এটাও জানালেন, দলের রক্ষণ নিয়ে তিনি মোটেই চিন্তিত নন।
সম্প্রতি ওড়িশা এফসির কোচ বদল হয়েছে। গত ম্যাচে জামশেদপুরের কাছে হেরেছে। সব মিলিয়ে ম্যানুয়েল ওনু, দিয়েগো মরিসিওদের মনোবল অনেকটা তলানিতে। উলটোদিকে নিজেদের শেষ ম্যাচে দুরন্ত ফুটবল উপহার দিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। তবে হাবাস যেন অন্য ধাতুতে গড়া। তিনি মনে করেন, প্রতিপক্ষ মানেই সকলের অজান্তে ছোবল মারবে। “আমি মুম্বইয়ের সঙ্গে ওড়িশার কোনও পার্থক্য দেখছি না। ওদের কোচ বদল হয়েছে। তার মানে এই নয় যে, ওরা পিছিয়ে পড়েছে। বরং অনেক সময় কোচ বদলে দিলে ফুটবলারদের মনোবল প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে যায়। তাই মুম্বইয়ের মতোই ওড়িশার বিপক্ষে একই মনোভাব নিয়ে নামব।” বলেন হাবাস।
[আরও পড়ুন: চেন্নাই টেস্টের প্রথম একাদশে কুলদীপ ও সিরাজের না থাকা নিয়ে ক্ষোভ গম্ভীরের]
এটিকে মোহনবাগান শিবিরের গর্বের জায়গা হল ডিফেন্স। সেই ডিফেন্সকে এখনও নড়বড়ে দেখাচ্ছে। গত দু’টো ম্যাচ মিলিয়ে মোট চারটে গোল খেয়েছে হাবাসের দল। তাহলে কি রক্ষণ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ? হাবাস তা মনে করছেন না। তাঁর সাফ জবাব, “আমি প্রথম একাদশ পরপর দু’টো ম্যাচে ধরে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছি। এত চোট-আঘাতে ভুগছে দল। তাহলে ডিফেন্সকে দায়ী করব কেন? ধারাবাহিকভাবে ডিফেন্স ভাল খেলবে তা হয় না। সুতরাং রক্ষণে বদল আনার ভাবনা নেই। যদি প্রয়োজন হয় নিশ্চয়ই বদল করব।”
পুণে দলের কোচ থাকার সময় লেনি রড্রিগেজকে দেখেছিলেন। তাই সুযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লেনিকে দলে নিতে ভুল করেননি হাবাস। যদিও আজ তাঁর খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে কার্ল ম্যাকহিউগ যেহেতু কার্ড সমস্যার কারণে নেই তাই লেনি প্রথম একাদশে ঢুকে পড়লেও পড়তে পারেন। অন্যদিকে, মার্সিলিনহো আসায় আক্রমণের শক্তি অনেকটা বেড়েছে। গত ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিপক্ষে তাঁর প্রথম গোল দলের জয়ের পথ প্রশস্ত করে দিয়েছিল। তাই ডিফেন্সে সামান্য চিড় ধরলেও আক্রমণ বিভাগ ভরসা দিচ্ছে।