স্টাফ রিপোর্টার: তাঁকে ঘিরেই এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal) কোচ রবি ফাউলারের (Robbie Fowler) যাবতীয় পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে। এমনকী তাঁকে নিয়েই ডার্বি জেতার আশায় বুক বাঁধছেন সবুজ–মেরুন সমর্থকরাও। তিনি বলতে এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohunbagan) তারকা স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণ (Roy Krishna)। কিন্তু তিনি ডার্বির আগে অদ্ভুত ভাবে শান্ত হয়ে গিয়েছেন। মাঠের ভয়ঙ্কর আগ্রাসী রূপটাই বদলে যায় মাঠের বাইরে এসে। তখন হাসি খুসি অন্য মানুষ।
এরমধ্যেই প্রথম ম্যাচ খেলে ফেলায় এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ রবি ফাউলারের কাছে হাবাসের দল এখন হাতের তালুর মতোই চেনা। যদিও রয় কৃষ্ণ আবার ভাবছেন ঠিক উল্টোটাই। “ওদের ডিফেন্সের কোনও ফুটবলারকে না চেনায় একদিক থেকে ভালই হয়েছে। যদি আগের থেকে এসসি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের জানা থাকত, তাহলে নানারকম ভাবনা আসত। আর তার থেকেই যাবতীয় সমস্যা। না জেনে, না চিনে নতুন একটা ডিফেন্সের বিরুদ্ধে খেলতে নামা একদিক থেকে ভালই।”
[আরও পড়ুন: লাহোরে নেগেটিভ, নিউজিল্যান্ডে নেমেই করোনা পজিটিভ ৬ পাক ক্রিকেটার, অনিয়মের অভিযোগ]
হাবাসের (Antonio Lopez Habas) এই দলের মধ্যে রবি ফাউলারের কোচিংয়ের সঙ্গে একমাত্র পরিচয় রয়েছে ব্র্যাড ইনম্যানের। গত মরশুমে ব্রিসবেন রোয়ারে রবি ফাউলারের কোচিংয়ে খেলেছিলেন তিনি। ফলে কিছুটা হলেও জানেন, কোন স্ট্র্যাটেজিতে খেলতে পছন্দ করেন লিভারপুল কিংবদন্তী।
কিন্তু জানেন কী অনেক আগেই রবি ফাউলারের সঙ্গে মাস তিনেক থাকার অভিজ্ঞতা হয়েছিল রয় কৃষ্ণরও!
রবি ফাউলার তখন ‘এ’ লিগের দল কুইন্সল্যান্ড ফুরির মার্কি ফুটবলার। সেই সময় তিন মাসের জন্য কুইন্সল্যান্ড ফুরিতে ট্রায়ালে গিয়েছিলেন রয় কৃষ্ণ। একসঙ্গে খেলা হয়তো হয়নি। তবে ফাউলারের সঙ্গে সম্পর্কটা তৈরি হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: অঝোরে কেঁদেছিলেন শেষ জন্মদিনে, সন্তানদের না দেখার হাহাকার নিয়েই বিদায় মারাদোনার]
এসসি ইস্টবেঙ্গলের কোনও বিদেশি ফুটবলারকে না চিনলেও বলবন্ত সিং এবং শেহনাজ সিংয়েক ভালমতোই চেনেন এটিকে মোহনবাগান তারকা। এই দুই ফুটবলারের সঙ্গে আগেই খেলেছিলেন এটিকেতে। এবার এটিকে মোহনবাগানে রয় কৃষ্ণ এদের প্রতিপক্ষ ফুটবলার। গত মরশুমেও কলকাতায় খেলার জন্য ভালভাবেই জানতেন মোহনবাগান–ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে লড়াইটা। এই দুটো দলের লড়াই নিয়ে কীভাবে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন দু’দলের সমর্থকরাই। ফলে শুক্রবারের ম্যাচে নিয়ে মাঠের বাইরে কী চাপ তৈরি হতে চলেছে ভালই বুঝতে পারছেন এটিকে মোহনবাগান স্ট্রাইকার। তবু তিনি বললেন, ‘‘বিশ্বাস করুন, আমার কোনও চাপই মনে হচ্ছে না। তবে ডার্বির গুরুত্ব কী সেটা তো জানি। কিন্তু বিশ্বাস করুন, ডার্বিটাও কিন্তু লিগের আরেকটা ম্যাচের মতোই। যে ম্যাচটা থেকে আমাদের ‘তিন’ পয়েন্ট পেতেই হবে। আর সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
প্রথম ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters) বিরুদ্ধে তাঁর সঙ্গে ডেভিড উইলিমসকে না দেখে অনেকেই বেশ অবাক হয়েছিলেন। যা নিয়ে প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছিল হাবাসকে। শুক্রবারের ডার্বিতে কিন্তু রয় কৃষ্ণর সঙ্গে ডেভিড উইলিয়মসের খেলার সম্ভাবনা প্রবল। আর তা নিয়ে ডেভিড উইলিয়মস বলছেন, “অনেকদিন রয় কৃষ্ণর সঙ্গে জুটি বেঁধে খেলিনি। তবুও আশা করছি, গতবারের মতো এবারও ওর সঙ্গে আমার জুটি কার্যকর হবে।”
[আরও পড়ুন: প্রথম ম্যাচে নামার আগে প্রয়াত ফিল হিউজকে বিশেষ শ্রদ্ধা জানাবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া]
রয় কৃষ্ণর মতো ডেভিড উইলিয়মস বুঝতে পারছেন, শুধু এই ম্যাচটা ঘিরে সারা দেশের সবুজ–মেরুন সমর্থকরা কী ভাবে উত্তেজিত হয়ে রয়েছেন। তবুও যেন হতাশা যাচ্ছে না ডেভিড উইলিয়মসের। বলছিলেন, “ভাবুন তো, এরকম একটা হাই ভোল্টেজ ম্যাচ, কিন্তু মাঠে একজন দর্শককেও দেখতে পাব না। মাঠে না এলেও সেদিন সবাই টিভির সামনে বসে থাকবে আমি নিশ্চিত।