shono
Advertisement

ডার্বিতেও কেরল ম্যাচের দল রাখতে চাইছেন এটিকে মোহনবাগান কোচ হাবাস

লাল-হলুদের বিরুদ্ধেও ৩-৫-২ সিস্টেমে খেলবেন হাবাস।
Posted: 02:05 PM Nov 26, 2021Updated: 02:23 PM Nov 26, 2021

দুলাল দে: ক্লাসরুমের মিটিংটা ডার্বির সকালের জন্যই তুলে রাখলেন এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস (Antonio Lopez Habas)।

Advertisement

এমনিতে যে রোজ মাঠের বাইরে ক্লাসরুমের বোর্ডে চক আর ডাস্টার নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন, এরকম নয়। তবে ম্যাচের দিন সকালে হোটেলের রুমে নিশ্চিতভাবেই ফুটবলারদের একটা ক্লাস নেন। প্রয়োজন পড়লে সেটা মাঝে মধ্যে ম্যাচের দু’দিন আগেও হয়। তবে সেই ক্লাসের সংখ্যা খুবই কম। তাহলে কি হাবাস মাঠের ভিতর বল নিয়ে বিভিন্ন মুভমেন্ট দেখানোর বাইরে, ফুটবলারদের কোনও ক্লাস নেন না?

[আরও পড়ুন: India vs New Zealand: অভিষেক টেস্টে অনবদ্য সেঞ্চুরি, সৌরভ-শেহওয়াগের সঙ্গে এক আসনে শ্রেয়স]

ক্লাস নেন। অবশ্যই নেন। তবে সেটা রোজ প্র্যাকটিস শুরুর আগে মাঠেই। এদিন বিকেলের প্র্যাকটিসেও যার অন্যথা হয়নি। এদিন বিকেলে প্র্যাকটিসে নামার আগে এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিভিন্ন মুভমেন্ট ভাল করে বোঝালেন হাবাস। বিশেষ করে এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal) ফরোয়ার্ড পেরিসেভিচের মুভমেন্টগুলো। মাঠের বাইরে ফুটবলারদের যা বোঝালেন, তারপর সেগুলিই মাঠের মধ্যে পরিস্থিতি তৈরি করে বোঝাতে লাগলেন এটিকে মোহনবাগান কোচ। ঠিক করেছেন, শনিবার ডার্বির দিন সকালে টিম হোটেলে ফুটবলারদের ক্লাস নেবেন তিনি। যেখানে ভোকাল টনিক থেকে শুরু করে টেকনিক্যাল ব্যাপার, শেষ বাবের মতো বোঝাবেন সবুজ-মেরুনের স্প্যানিশ কোচ। আপাতত যা খবর, তাতে প্রথম ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে যে দল তিনি খেলিয়েছিলেন, শনিবার এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেও সেই দলটাই নামাতে চান। যার অর্থ, প্রথম একাদশেনর বিদেশি বলতে, কার্ল ম্যাকহিউগ, হুগো বুমোস, জনি কাউকো এবং রয় কৃষ্ণ।

প্রথম ম্যাচে যেরকম ৩-৫-২ সিষ্টেমে খেলেছেন, লাল-হলুদের বিরুদ্ধেও হাবাসের ছক থাকবে সেই ৩-৫-২ সিস্টেম। তবে খেলার স্টাইলে পরিবর্তন আনতে চাইছেন তিনি। মানে, জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে এসসি ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখে, হাবাসের মনে হয়েছে, ৩-৫-২ সিষ্টেম রাখলেও, তাতে কিছু বৈচিত্র আনা উচিৎ। তাই খেলার স্টাইলে কিছু পরিবর্তন আনছেন তিনি।

এমনিতে সবাই বলেন, হাবাস হচ্ছেন ডিফেন্সিভ কোচ। কিন্তু তাঁর সম্পর্কে এই সিদ্ধান্তে প্রবল আপত্তি আছে সবুজ-মেরুন কোচের। প্রতিবাদ করে বলেন, “না আমি অ্যাটাকিং কোচ, না আমি ডিফেন্সিভ কোচ। বরং পরিস্থিতি বুঝে খেলাটা ব্যালান্স করতে ভালবাসি।” প্রথম ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ভালভাবে জিতলেও, হাবাসের মনে হয়েছে, এই ব্যালান্স ফুটবলটাই ঠিক হয়নি। না হলে, কেন দু’গোল খেতে হবে? হাতে হুগো বুমোস, কাউকো, রয় কৃষ্ণর মতো অ্যাটাকার পেয়ে পুরো দলটাই যেন আক্রমণাত্মক খেলার দিকেই বেশি নজর দিয়েছিল। হাবাস তাই লেনি রডরিগস, প্রীতম কোটালদের বারবার করে বোঝাচ্ছেন, অ্যাটাকে গেলেও, ডিফেন্স টাইট করতে হবে। আগে ঘর সামলাও তারপর অ্যাটাক। একই সঙ্গে যতদূর জানা যাচ্ছে, গত মরশুমের এসসি ইস্টবেঙ্গলের থেকে এবারের এসসি ইস্টবেঙ্গলকে একটু বেশিই নম্বর দিচ্ছেন হাবাস।

[আরও পড়ুন: শাকিবের মুন্ডু কেটে অন্য ক্রিকেটারের মাথা! ছবি বিতর্কে উত্তাল বাংলাদেশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement