এসসি ইস্টবেঙ্গল: ১ (টমিস্লাভ)
কেরালা ব্লাস্টার্স: ১ (অ্যালভেরো)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হারার আগেই হেরে গেলে জয়টা নিঃসন্দেহে আরও কঠিন হয়ে ওঠে। এসসি ইস্টবেঙ্গলেরও (SC East Bengal) এখন তেমনই অবস্থা। চলতি আইএসএলে টানা পাঁচ ম্যাচে জয়ের মুখ দেখতে না পাওয়া, ডার্বিতে লজ্জার হার, লাগাতার গোল হজম করা- সবমিলিয়ে লাল-হলুদ ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। লাল-হলুদ কোচ নিজেও খেলার আগেই জয় নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। কেরালা ম্যাচে তারই প্রতিফলন দেখা গেল। এগিয়ে গিয়েও তিন নয়, এক পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়লেন দিয়াজের ছেলেরা।
[আরও পড়ুন: একেই বলে জাবরা ফ্যান! রজনীকান্তের জন্মদিনে বুকে ‘থালাইভা’র ট্যাটু আকাঁলেন হরভজন]
ডার্বির পর থেকে জয় অধরাই রয়ে গিয়েছে এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan)। তবে চলতি আইএসএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে এই কেরালা ব্লাস্টার্সকেই ৪টি গোল দিয়েছিল হাবাসের দল। তবে লিগ তালিকার সাত নম্বরে থাকা দলটিকে সমীহ করেই চলছিলেন দিয়াজ। তিনি শুধু চেয়েছিলেন, ছেলেরা যাতে ছন্দে ফেরেন। এদিন শুরুতে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল পেরোসিভিচদের। তবে প্রথমার্থের শুরুতে ফাঁকা তেকাঠিতে বল ঢুকিয়ে দিয়ে প্রায় এগিয়েই যাচ্ছিল কেরালা। কিন্তু হ্যান্ডবলের জন্য সে গোল বাতিল হয়ে যায়। এরপর রাজু গায়কোয়াড়ের বাড়ানো বল থেকে দুরন্ত হেডারে দলকে এগিয়ে দেন টমিস্লাভ।
তবে গোল শোধ করতে বিশেষ সময় নেয়নি কেরালা (Kerala Blasters)। জেসল কার্নেইরোর পাস থেকে গোল করে দলে ম্যাচে সমতা ফেরান অ্যালভেরো। দুই অর্ধেই গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন পেরোসিভিচ। কিন্তু টার্গেট মিস হওয়ায় স্কোরবোর্ডে গোলের সংখ্যা আর বাড়েনি। ফলে কেরলকে আটকে এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল লিগের লাস্ট বয়দের।
প্রিয় দলের খেলা থাকলেই যেন এখন চিন্তায় পড়ে যাচ্ছেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। এই বুঝি আরও কিছু গোল হজম করার পালা! কিন্তু দলের এমন কঠিন সময় ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস ফেরাতে যদি কোচ বড়সড় ভূমিকা পালন না করেন, তাহলে গতবারের আইএসএলের চেয়েও এবার দুঃখজনক পরিণতি হতে পারে। ভক্তদের ক্ষোভের মুখে পড়তে পারেন স্প্যানিশ কোচ।