কেরালা ব্লাস্টার্স: ২ (অ্যাড্রিয়ান লুনা ২)
এটিকে মোহনবাগান: ২ (ডেভিড উইলিয়ামস, জনি কাউকো)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাচের আগে কোচ জুয়ান ফেরান্দো নিজেই বলেছিলেন, এই ম্যাচকে তিনি দেখছেন ফাইনালের মহড়া হিসাবে। কিন্তু কোচের সেই ফাইনালের মহড়ায় জিততে পারল না এটিকে মোহনবাগান (ATK)। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ড্র দিয়েই মাঠ ছাড়তে হল সবুজ-মেরুনকে।
খাতায় কলমে এদিনের লড়াই ছিল টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা দুই টিমের। মাঠের লড়াইটাও হল তেমনই। প্রথম বাঁশি পড়ার পর থেকেই লড়াই হল সমানে সমানে। দুই দলই রক্ষণ শক্ত করে বারবার আক্রমণে ঝাঁপাল। দুই দলের গোলরক্ষককেই একাধিকবার বিশ্বমানের গোল সেভ করতে হল। একটা সময় মনে হচ্ছিল হয়তো হেরেই মাঠ ছাড়তে হবে সবুজ-মেরুনকে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিশ্বমানের গোল করে ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট ছিনিয়ে নিল সবুজ-মেরুন শিবির।
[আরও পড়ুন: বিশ্রামে তিন তারকা, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজের ভারতীয় দলে চমক]
এদিন ম্যাচের প্রথম গোলটি পায় কেরালা। ৭ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত ফ্রি-কিক থেকে সবুজ মেরুনের জালে বল জড়িয়ে দেন লুনা। গোলটি বিশ্বমানের। কিন্তু কেরালার সেই লিড স্থায়ী হয়নি। পরের মিনিটেই ডান দিক থেকে বাড়ানো পাসে দুর্দান্ত ফিনিশ করে সমতা ফেরান ডেভিড উইলিয়ামস (David Williams)। অর্থাৎ ৮ মিনিটের মধ্যেই দুই পক্ষ একটি করে গোল পেয়ে যায়। এরপরও জারি থাকে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ। কিন্তু প্রথমার্ধে আর গোল আসেনি। খেলার দ্বিতীয়ার্ধেও লড়াই চলছিল সেই সমানে সমানে। কিন্তু ৬৪ মিনিটে ফের এটিকে-মোহনবাগানের দুর্গে আঘাত হানেন লুনা (Adrian Luna)। এবারেও দুর্দান্ত গোল করে কেরালাকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বিরাটের পর ভারতের টেস্ট অধিনায়ক রোহিত শর্মাই, ঘোষণা বিসিসিআইয়ের]
এরপর বহু চেষ্টা করেও নির্ধারিত সময়ে সমতা ফেরাতে পারেনি সবুজ-মেরুন শিবির। শেষদিকে একসঙ্গে রয় কৃষ্ণ এবং কিয়ান নাসিরিকে নামিয়েও সাফল্য আসছিল না। ঠিক যখন হারের হতাশা গ্রাস করছিল সবুজ-মেরুন সমর্থকদের, তখনই বিশ্বমানের গোল করলেন জনি কাউকো। নিশ্চিত হারা ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরল সবুজ-মেরুন শিবির।