সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একজন ডার্বির ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা। আরেকজন মোহনবাগানের সর্বোচ্চ গোলদাতা। একজন দুটি ক্লাবে খেললেও মনেপ্রাণে লাল-হলুদকে সমর্থন করেন। আরেকজন সবুজ মেরুনের ঘরের ছেলে, সবুজ তোতা। একজনের নাম বাইচুং ভুটিয়া (Bhaichung Bhutia)। অপরজন, ব্যারেটো। তবে, আইএসএলের প্রথম ডার্বির আগে দুজনে দুটি বিষয়ে একমত। এক, ভিনরাজ্যে ডার্বি হলেও আবেগ বা উন্মাদনা কমবে না। বরং আইএসএলের প্ল্যাটফর্মে আরও বৃহৎ আকার নেবে ভারতীয় ফুটবলের সবচেয়ে বড় ম্যাচ। দুই, মাঠে সমর্থকদের অনুপস্থিতি কিছুটা হলেও অ্যাডভান্টেজ দেবে দু’দলের ফুটবলারদের।
বাইচুং বলছিলেন,”আইএসএলের (ISL) কলকাতা ডার্বিতে আরও বেশি আবেগ থাকবে সমর্থকদের মধ্যে। দু’দলের সমর্থরাই চাইবে, যেভাবেই হোক তাদের দল ডার্বি জিতুক, এবং চ্যাম্পিয়ন হোক।” বাইচুং বলছিলেন, খেলাটা যদি কলকাতায় হত, বা হাজার হাজার দর্শক যদি খেলা দেখার সুযোগ পেত তাহলে ব্যাপারটা অন্যরকম হত। তবে, ভিনরাজ্যে খেলা হচ্ছে মানে এই নয় যে, আবেগ কমে যাবে, চাপ কমে যাবে। দু’দলের উপরই চাপ থাকবে, যেভাবেই হোক ডার্বি এবং চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার। কারণ, দু’দলের সমর্থকরা সেটাই চায়।
[আরও পড়ুন: শোকের আবহে প্রথম ISL ডার্বি, ফাউলারের অচেনা লাল-হলুদ ভাবাচ্ছে হাবাসকে]
ব্যারেটো (Jose Baretto) আবার বলছেন, “ডার্বিতে নামা মানে তোমাকে অনেক ইতিহাস মনে রাখতে হবে। আমি অনেক ডার্বি খেলেছি, তাই হারের যন্ত্রণা, জয়ের আনন্দ দুটোই জানি। আমরা মাঠে সমর্থকদের প্রতিনিধিত্ব করি। প্রতিটি সমর্থক, তাদের পরিবার আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকে। আমার মাথায় এসব কাজ করত। এবং চেষ্টা করতাম নিজের সেরাটা দেওয়ার। নিজের লক্ষ্যে সাফল্য পাওয়ার। যাতে সমর্থকদের আনন্দ দেওয়া যায়।”
[আরও পড়ুন: স্রেফ ১৫ দিনেই তৈরি মোমের মূর্তি, আসানসোলের শিল্পীর কাজে অভিভূত হয়েছিলেন মারাদোনা]
এবারের ডার্বিতে এমন অনেক ফুটবলার আছেন, যারা প্রথমবার খেলছেন। তাঁদের জন্য দর্শকদের অনুপস্থিতিটা শাপে বর হবে বলেই মনে করছেন দুই তারকা। ব্যারেটো বলছেন,”সমর্থক এবং ক্লাবের জন্য এই ডার্বিটা অত্যন্ত জরুরি, যেহেতু এটাই আইএসএলের প্রথম ডার্বি। তবে, সমর্থকদের না থাকাটা ফুটবলারদের সাহায্য করবে চাপ কমিয়ে দেবে। আসলে ডার্বির উত্তেজনা কতটা এটা ওঁরা বুঝবে দ্বিতীয় ডার্বির সময়।” এ বিষয়ে একমত বাইচুংও। তিনি বলছেন,”পারফরম্যান্সটা অবশ্যই ফুটবলারদের মানসিকতার উপর নির্ভর করে। তবে, এটা ঠিক কলকাতায় না খেলার দরুন ডার্বির আসল উত্তেজনার আঁচ ওঁরা পাবে না। যেটা ওদের অনেক চাপমুক্ত রাখবে।”