সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ১৫ এপ্রিল মোহনবাগানের লিগ শিল্ড ম্যাচ দেখতে যুবভারতী পৌঁছে গিয়েছিলেন কেএল রাহুলরা। মুম্বই বনাম সবুজ-মেরুনের ম্যাচে কানায় কানায় পূর্ণ যুবভারতী দেখে রীতিমতো তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, বিদেশের ফুটবলেও এমন পাগলামি বিরল। সাধে কি আর কলকাতাকে ফুটবলের মক্কা বলা হয়! যাঁরা বলেন, ফুটবল নিয়ে সেই পুরনো আবেগ, ভালোবাসা এখন আর নেই, তাঁদের মুখে আরও একবার ছাই দিয়ে রবিবার যুবভারতী ভরালেন বাগান সমর্থকরা।
মুম্বইকে হারিয়ে প্রথমবার লিগ শিল্ড জেতেন হাবাসের ছেলেরা। গ্যালারিতে মোবাইলের ফ্ল্যাশ জ্বেলে পেত্রাতোস, মনবীরদের জয়ের আনন্দে গা ভাসিয়েছিলেন সমর্থকরা। এদিনও প্রিয় দলকে জেতাতে যুবভারতী ভরে উঠেছিল। পর পর দুদিন আইএসএল ম্যাচে যেভাবে কাতারে কাতারে ফুটবলপ্রেমীরা স্টেডিয়াম মুখী হলেন, তাতে ধন্যবাদ না জানিয়ে পারলেন না মোহনবাগান সভাপতি স্বপনসাধন বোস (টুটু বোস)।
[আরও পড়ুন: বেপরোয়া গাড়ি চালানোর প্রতিবাদ, ৩ ‘বহিরাগত’ যুবকের ‘মারে’ মৃত্যু পুরুলিয়ার তৃণমূল নেতার]
চলতি টুর্নামেন্টের প্রথম লেগে ওড়িশার ঘরের মাঠে ১-২ হারে গঙ্গাপারের ক্লাব। ফলে ফাইনালে পৌঁছতে হলে এদিন ২ গোলে জিততেই হত তাদের। প্রথমার্ধেই কামিন্স গোল করেন। কিন্তু ৯০ মিনিটের মধ্যে আর কোনও গোল হয়নি। ফলে খেলা যখন অতিরিক্ত সময়ের দোরগোড়ায়, ঠিক তখন ইনজুরি টাইমে গোল করে দলকে ফাইনালে পৌঁছে দিলেন সাহাল আব্দুল সামাদ। দলের এমন অগ্নিপরীক্ষার দিন সমর্থকরা পাশে থাকবেন না, তাও কি সম্ভব? মোহনবাগান জার্সি গায়ে চাপিয়ে, হাতে সবুজ-মেরুন পতাকা নিয়ে, গায়ে জাতীয় ক্লাবের লোগো এঁকে ভক্তরা পৌঁছে গিয়েছিলেন যুবভারতীতে। ফল যা হওয়ার তাই হয়। প্রায় ৬৩ হাজার দর্শকের শব্দব্রহ্মের কাছে আত্মসমর্পণ করে লোবেরার দল।
ম্যাচ শেষে তাই সমর্থকদের ধন্যবাদ জানা মোহনবাগান (Mohun Bagan) সভাপতি। "পরপর দুটো খেলায় সমর্থকরা যে সংখ্যায় এসেছে, তা নজিরবিহীন! সব সমর্থককে আমার সবুজ মেরুন সেলাম!" বলেন স্বপনসাধন বোস। তাঁর আশা, "ইতিহাস গড়ে আমরা এই ট্রফি জিতবই।" তাঁর মতোই স্বপ্ন দেখছেন সমর্থকরাও। যুবভারতীতেই যে টুর্নামেন্টের ফাইনাল আয়োজিত হবে, তা এবার নিশ্চিত হয়ে গেল। সেদিনও যে রেকর্ড সংখ্যায় দর্শকরা ভিড় জমাবেন, তা আন্দাজ করতে খুব একটা অসুবিধা হয় না।