এসসি ইস্টবেঙ্গল- ১ (ফক্স)
এফসি গোয়া-১ (ইগর)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুরুতেই পেনাল্টি নষ্ট, গোটা ম্যাচে একাধিক সুযোগ হাতছাড়া এবং রক্ষণের ভুলে গোল হজম। এই ভুলগুলোর কারণে আবারও ড্র করেই মাঠ ছাড়তে হল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে (SC East Bengal)। প্রায় ৩০ মিনিট দশ জনে খেলা গোয়াকে হারাতে পারলেন না ব্রাইট-পিলকিংটন-মাঘোমারা। খেলা শেষ হল ১-১ গোলে।
প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে এই ম্যাচে জিততেই হত এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে লাল-হলুদের সহকারী কোচ টনি গ্রান্ট সেকথা জানিয়েও দিয়েছিলেন। প্রত্যাশামতোই শুরু থেকেই তাই বজায় ছিল এসসি ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণের ঝড়। দ্রুত গোল পেতে এদিন প্রথম থেকেই ব্রাইট, মাঘোমা এবং পিলকিংটনকে একসঙ্গে নামিয়েছিলেন ফাউলার। তাতে সুযোগও এসে গিয়েছিল লাল-হলুদের কাছে। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই বক্সে নারায়ণকে ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু হেলায় সেই সুযোগ নষ্ট করে পিলকিংটন। গোলকিপার উলটোদিকে ঝাঁপ দিলেও পিলকিংটনই শট বাইরে মারেন। এরপর পালটা ইগরের শট বাঁচান দেবজিৎ। প্রথমার্ধের বেশিরভাগ সময়ই আক্রমণের ঝাঁঝ বেশি ছিল লাল-হলুদের। কিন্তু ব্রাইটদের গোল করার প্রয়াস বারেবারেই ব্যর্থ হয়। উলটে ৩৮ মিনিটে ইগর গোল করে গোয়াকে এগিয়ে দেন। নগুয়েরার দুরন্ত থ্রু থেকে আগুয়ান দেবজিৎকে কাটিয়ে গোলটি করেন তিনি। এর ফলে বিরতিতে যাওয়ার সময় ১-০ গোলে এগিয়ে যায় গোয়া।
[আরও পড়ুন: বুকে স্টেন্ট বসার পর স্থিতিশীল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, কবে ছাড়া পাচ্ছেন হাসপাতাল থেকে?]
দ্বিতীয়ার্ধেই যেন ম্যাচের যাবতীয় মশলা মজুত ছিল। আক্রমণও বেশি ছিল লাল-হলুদের। আর সে কারণেই ৬৪ মিনিটে সমতা ফেরায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। কর্নার থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান অধিনায়ক ড্যানি ফক্স। এরপরই অবশ্য পরপর দু’টি হলুদ কার্ড দেখায় গোয়ার এডু বেদিয়াকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। অর্থাৎ শেষ ৩০ মিনিট দশজনে খেলতে হয় এফসি গোয়াকে। ফলে এই সময় রবি ফাউলারের দলের আক্রমণের পরিমাণ ছিল অনেকটাই বেশি। ভাগ্যদেবী সুপ্রসন্ন না থাকায় এবং গোয়ার গোলের নীচে ধীরজ অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠায় গোল আর পায়নি এসসি ইস্টবেঙ্গল। ব্রাইট-মাঘোমা-পিলকিংটন-হরমনপ্রীতরা সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত লাল-হলুদ ব্রিগেজ। তবে এদিনও রেফারির বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।