সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজায় 'ধ্বংসযজ্ঞ' অব্যাহত। হামাস জঙ্গিদের সমূলে নিধন করতে গোটা ভূখণ্ড গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। চারপাশে মৃতদেহের স্তূপ, স্বজনহারা কান্না। ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। বাড়ছে নানা রোগের সংক্রমণ। মাথাচারা দিয়েছে পোলিও। যার বাড়বাড়ন্তের কারণে এবার গাজায় ৩ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইজরায়েল। শিশুদের টিকাকরণের জন্যই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
যতদিন যাচ্ছে আরও ভয়াবহ হচ্ছে গাজার পরিস্থিতি। লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মৃতদেহ। শরণার্থী শিবিরগুলোর বেহাল দশা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কোনও বালাই নেই। রোজকার কাজকর্ম করার জন্য পর্যাপ্ত জল নেই। এই বেহাল পরিস্থিতিতে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে পোলিও নিয়ে। ক্রমশ বাড়ছে এই রোগের প্রকোপ। কয়েকদিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, গাজার বিভিন্ন ড্রেন থেকে নেওয়া নমুনায় পোলিও-র চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। সংক্রমণের লক্ষণগুলো দেখা গিয়েছে কারও কারও শরীরে। কিন্তু তাদের ঠিকমতো চিকিৎসা করা হচ্ছে না। গত ২৩ আগস্ট WHO জানায় যে, টাইপ টু পোলিও ভাইরাসে একটি শিশুর পক্ষাঘাত হয়েছে। এর পর গাজায় শিশুদের টিকাকরণ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
রয়টার্স সূত্রে খবর, রবিবার থেকে এই টিকাকরণ শুরু হবে গাজায়। যা চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। এই তিন দিন স্থানীয় সময় ভোর ৬টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত কোনওরকম হামলা চালাবে না হামাস ও ইজরায়েল। প্রথম দফায় ৬ লক্ষ ৪০ হাজার শিশুকে পোলিও-র টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রথমে মধ্য গাজা থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে। এনিয়ে হামাসের এক মুখপাত্র জানিয়েছে, "আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ শিশুর জীবন সুরক্ষিত করতে আমরা এই প্রয়াসে সাহায্য করব।" শিশুদের জন্য এই কাজে সম্মত হয়েছে ইজরায়েলি সেনাও। তারা জানিয়েছে, "সে জায়গাগুলোতে টিকা দেওয়া হবে সেখানে সাধারণ মানুষদের ঠিকমতো পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।" বলে রাখা ভালো, ইতিমধ্যেই এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতে গাজায় মৃতের সংখ্যা ৪০ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা ও শিশু।