সংবাদ প্রতিদিন দিগিয়াল ডেস্ক: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) নতুন সাফল্য উসকে দিয়েছে প্রশ্ন। কোটি কোটি টাকা খরচ করে ‘হাইসিস’ বানিয়ে কতটা চ্যালেঞ্জিং কাজ করেছে ইসরো? উত্তরটা মিলল শুক্রবার। হাইসিস অর্থাৎ হাইপার স্পেকট্রাল ইমেজিং স্যাটেলাইট আসলে মাটির নীচে লুকনো ল্যান্ডমাইনকেও খুঁজে বের করে দেবে।
[পৃথিবীর উপর নজর রাখতে মহাকাশে ‘ছোটা ভীম’ পাঠাল ISRO]
প্রসঙ্গত, গত ১৭ বছরে ভারতে ল্যান্ডমাইনে পা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩,৭০০ জনের। এই একটা তথ্যই বোধহয় হাইসিস উপগ্রহের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে যথেষ্ট। ২.৫x১.১x১.৩ মিটার দৈর্ঘ্যের উপগ্রহ ‘হাইসিস’ (ছোটা ভীম)। এই ছোট আয়তনের উপগ্রহ ভূ-পর্যবেক্ষণ করে হাই-রেজোলিউশন ছবি পাঠাবে ইসরোর বিজ্ঞানীদের। দেশের ভূ-পর্যবেক্ষণের জন্য দেশের শক্তিশালী উপগ্রহ ‘হাইসিস’ বা ‘ছোটা ভীম’ এবং ৩০টা বিদেশি উপগ্রহকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা বেজে ৫৮ মিনিটে মহাকাশে সফল উৎক্ষপণ করেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ৩৮০ কেজির হাইসিস উন্নত মানের উপগ্রহ যেটি আগামী পাঁচ বছর মূলত ভারতের উপর নজরদারি চালাবে। এবং জলসম্পদ, কৃষিজমি, অরণ্য ইত্যাদি নানা বিষয়ের ছবি পাঠাবে। মাটি থেকে ৬০০ কিলোমিটার ওপরে পৃথিবীকে ঘিরে প্রদক্ষিণ করবে হাইসিস। মাটির নীচে পাঁচ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ধরা পড়বে এর ক্যামেরায়। শুকনো জমি, জলাভূমি, বরফে ঢাকা জমি বা মরুভূমি, সর্বত্রই কড়া নজর রাখবে এই উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা। কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমেই লুকনো ল্যান্ডমাইনের হদিশ মেলায় বহু মানুষের প্রাণ বাঁচবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়াও, কৃষিকাজেও সাহায্য করবে হাইসিস। খারাপ ফসলকে আলাদা করে দেখানোর ক্ষমতা রয়েছে এর মধ্যে। আইআইটি চেন্নাইয়ের অধ্যাপক উদয় কে খানখোজে জানিয়েছেন, রেডারের মতো ভাল না হলেও এই কৃত্রিম উপগ্রহ অত্যন্ত কার্যকরী হবে বলেই আশা। কাশ্মীর সীমান্ত থেকে শুরু করে ছত্তিশগড়ের মাও অধ্যুষিত এলাগুলিতে পোঁতা রয়েছে হাজার হাজার ল্যান্ডমাইন। লুকোনো মৃত্যুফাঁদে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। এবার সেগুলিকে খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে ‘ছোটা ভিম’।
[অশোধিত তেলের দামে রেকর্ড পতন, ফের পেট্রোপণ্যে শুল্ক বাড়াতে পারে কেন্দ্র]
The post মাটির তলায় ‘মৃত্যুফাঁদ’ খুঁজে বের করবে ইসরোর ‘ছোটা ভীম’ appeared first on Sangbad Pratidin.