সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক তছরূপের অভিযোগে কর্ণাটকের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ও তাঁর মালিকানাধীন মেডিক্যাল কলেজে তল্লাশি চালাল আয়কর বিভাগ। কংগ্রেস-জেডিএস সরকার থাকাকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা জি পরমেশ্বর। বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়ি-সহ একাধিক ঠিকানায় হানা দেয় আয়কর বিভাগ।
[আরও পড়ুন: ‘একজন জওয়ান শহিদ হলে ১০ জন শত্রুকে মারব’, হুঁশিয়ারি অমিত শাহের]
কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের পতনের পরই একের পর এক সরকারি এজেন্সি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিরোধী নেতাদের বেছে বেঝে তাঁদের বিরুদ্ধে এজেন্সিগুলিকে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। ইতিমধ্যেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর বিরুদ্ধে ফোন ট্র্যাপিংয়ের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। কর্ণাটকের অন্যতম প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমারকে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। আপাতত তিনি জেলেই আছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগের তদন্ত চলছে। এই তালিকায় নবতম সংযোজন কর্ণাটকের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জি পরমেশ্বর।
[আরও পড়ুন: স্কুল চত্বরে প্রকাশ্যে গুলি, ভাইরাল বজরং দলের শস্ত্রপুজোর ভিডিও]
বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়ি, তাঁর মালিকানাধিন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মেডিক্যাল কলেজ, একাধিক কলেজ-সহ মোট ৩০টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে আয়কর দপ্তর। আধিকারিকদের দাবি, ওই কলেজের আর্থিক লেনদেনে কারচুপি হয়েছে। যদিও কংগ্রেসের দাবি, এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করানো। জোর করে এজেন্সি কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের দমন করা হচ্ছে। কংগ্রেস নেতা তথা কর্ণাটক বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সিদ্ধারামাইয়া বলছেন, “রাজনৈতিকভাবে বা দুর্নীতি ইস্যুতে হারাতে না পেরে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শুধু কংগ্রেস নেতাদের টার্গেট করা হচ্ছে।” একই কথা কর্ণাটক কংগ্রেসের অন্য নেতাদেরও। যদিও, পরমেশ্বর নিজে এ নিয়ে আক্রমণের পথে যাননি। শান্তভাবে তিনি বলেছেন, “যদি আয়কর দপ্তরের মনে হয়ে থাকে কলেজের লেনদেনে কোনও ভুল আছে, তাহলে ওঁরা নথি দেখতে পারেন। আমাদেরও ভুল বের করে দেখাতে হবে। আমরাও দেখতে চাই।”
The post আর্থিক তছরূপের অভিযোগ, কর্ণাটকের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আয়কর হানা appeared first on Sangbad Pratidin.