সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাবতীয় অপেক্ষা, জল্পনা-কল্পনার অবসান। সরকারিভাবে আইএসএলে যুক্ত হল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। রবিবার খোদ এফএসডিএলের (FSDL) চেয়ারপার্সন নীতা আম্বানি দেশের এক নম্বর লিগে ইস্টবেঙ্গলের অন্তর্ভুক্তির কথা ঘোষণা করেছেন। ইস্টবেঙ্গল যোগ দেওয়ার ফলে ১০ দলের আইএসএল (ISL) এবার হবে ১১ দলের।
রবিবার এফএসডিএলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, শ্রী সিমেন্ট ইস্টবেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের সিংহভাগ শেয়ার কেনা এবং সফলভাবে সব শর্ত মেনে বিড পেপার জমা দেওয়ার পর তাদের আইএসএলে স্বাগত জানানো হচ্ছে। আইএসএলের সপ্তম সংস্করণের একাদশ দল হবে লাল-হলুদ শিবির। এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে এফএসডিএলের চেয়ারপার্সন নীতা আম্বানি (Nita Ambani) বলেন, “এটা আইএসএলের জন্য আনন্দের এবং গর্বের বিষয় যে আমরা ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এবং লক্ষ লক্ষ লাল-হলুদ সমর্থককে এই লিগে স্বাগত জানাতে পারছি। ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান দুই ঐতিহাসিক ক্লাবের আইএসএলে সংযুক্তিকরণ ভারতীয় ফুটবলের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দিল। বিশেষ করে প্রতিভার বিকাশের ক্ষেত্রে। ভারতীয় ফুটবলে বাংলার অবদান অনস্বীকার্য। সে রাজ্যে এবং গোটা দেশে আইএসএলের এই ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা দেশে উন্নত ফুটবলের পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করবে।”
[আরও পড়ুন: পুরনো কর্তাদের জন্যই আসছে না ইনভেস্টর! মহামেডান তাঁবুতে তুমুল বিক্ষোভ সমর্থকদের]
ইস্টবেঙ্গলের এই সংযুক্তিকরণ যে নিঃসন্দেহে শতবর্ষে লাল-হলুদ সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আসলে একটা সময় এ সব কিছুই অসম্ভব মনে হচ্ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এটিকে মোহনবাগানের অন্যতম অংশীদার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং ফেডারেশনের আন্তরিক চেষ্টায় এই প্রক্রিয়া বাস্তব রূপ পায়।
গত মরশুমের শেষেই সংঘাতের কারণে কোয়েস–ইস্টবেঙ্গল সম্পর্কে ছেদ পড়ে। এরপর আইএসএল খেলার জন্য ইনভেস্টর খোঁজার চেষ্টা করলেও করোনা আবহে বারবার ব্যর্থ হতে হয় লাল–হলুদ কর্তাদের। শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ। আর তাঁরই হস্তক্ষেপে ইস্টবেঙ্গলে নতুন ইনভেস্টর আসে। বিখ্যাত সংস্থা ‘শ্রী সিমেন্ট’ যুক্ত হল ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে। ইনভেস্টর আসার পর লাল-হলুদের আইএসএলে খেলা নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না। সেটাই এবার সরকারিভাবে ঘোষণা করা হল।
The post অপেক্ষার অবসান, সরকারিভাবে আইএসএলে যোগ দিল ইস্টবেঙ্গল, ঘোষণা নীতা আম্বানির appeared first on Sangbad Pratidin.