সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপত্যকায় সেনা জঙ্গি সংঘর্ষে মৃত্যু হল দুই জঙ্গির। আজ ঘটনাটি ঘটেছে কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার লারনো এলাকার কোকেরনাগে।
ভারত-পাক সীমান্তবর্তী অনন্তনাগ জেলায় রুটিন টহলদারি চালাচ্ছিল নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী। সেই সময়ই খবর আসে কোকেরনাগ এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে। তল্লাশি চালাতে গেলেই গোপন ডেরা থেকে জওয়ানদের লক্ষ্য করে গোলাগুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। বাহিনীর তরফে পালটা আঘাত এলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই জঙ্গির। মৃতেরা কোন জঙ্গি সংগঠনের তা এখনও জানা যায়নি।
[কাশ্মীর নিয়ে ফের বিতর্কিত মন্তব্য চিদম্বরমের, পালটা আক্রমণে বিজেপি]
প্রসঙ্গত, রবিবার বান্দিপোরা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক সন্দেহভাজন লস্কর জঙ্গিকে গ্রেপ্তার হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই অনন্তনাগে সেনাজঙ্গি সংঘর্ষে দুই জঙ্গির মৃত্যু হল। তিনদিন আগেই সোপরে বনধ চলকালীন শক্তিশালী আইইডি বিস্ফোরণে কর্তব্যরত চার পুলিশকর্মী নিহত হয়েছেন। বনধ চলায় এলাকার দোকানপাট বন্ধ ছিল। যানবাহনও চলছিল না। বনধের মধ্যে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেই স্থানীয় বাজার এলকায় রুটিন টহলে বেরিয়েছিল পুলিশ। একটি বন্ধ দোকানের সামনেই পেতে রাখা আইইডি-তে গাড়ির চাকা পড়তেই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় গাড়িটে দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চার পুলিশকর্মীর। মৃতদের মধ্যে একজন পুলিশ আধিকারিকও ছিলেন। বিস্ফোরণস্থলে থাকা বেশ কয়েকটি দোকানেরও ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাস্থলে জইশ জঙ্গির পোশাকের অংশ পাওয়া যায়। স্বাভাবিকভাবেই অভিযোগের তির পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের দিকে। যদিও নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ না পেয়ে বিস্ফোরণের দায়ভার জইশের ঘাড়ে চাপাতে নারাজ উপত্যকার পুলিশ।জানিয়েছে, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত আইইডি ২০১২-র দিকে আকছার ব্যবহার হত। এখন এর ব্যবহার নেই বললেই চলে। কোনও জঙ্গি সংগঠন এখনও পর্যন্ত বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি।
[অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র-সহ কাশ্মীরে গ্রেপ্তার সন্দেহভাজন লস্কর জঙ্গি]
The post সন্ত্রাসদমন অভিযান অব্যাহত উপত্যকায়, সেনার গুলিতে খতম দুই জঙ্গি appeared first on Sangbad Pratidin.