সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মহিমা অপার। বাংলা তো বটেই দেশের একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে দেখা গিয়েছে এই প্রকল্পের অনুকরণ। এবার নাম না করে সেই প্রকল্পই উঠে এল যাদবপুরের (Jadavpur) সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের (Srijan Bhattacharya) মুখেও। জানালেন, বামেরা ক্ষমতায় ফিরলে যে খাতে মানুষ ১ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন সেটাই ২ হাজার টাকা করে পাবেন।
২০০৪ সালে শেষবার যাদবপুর থেকে সাংসদ পেয়েছিল সিপিএম (CPIM)। তারপর থেকে এই কেন্দ্র তৃণমূলের দখলে। তবে সময় বদলেছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে 'দুর্নীতি' হাতিয়ার করে রাজ্যজুড়ে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির। বাদ নেই বামেরাও। ভোটপ্রচারে দফায় দফায় তুলে ধরা হচ্ছে শাসকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। এহেন পরিস্থিতিতে প্রচারের ময়দানে শাসক শিবিরকে শুধুই দুর্নীতির অস্ত্র না ছুড়ে জনহিতকর প্রকল্পের কথাও শোনা গেল যাদবপুরের বাম প্রার্থীর মুখে। সেখানেই উঠে এল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের ‘ফ্ল্যাগশিপ’ প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর কথা। সৃজন বলেন, "বুদ্ধবাবুর সময় বিধবাভাতা, বার্ধক্যভাতা, মেয়েদের সাইকেল দেওয়া, ২ টাকা কেজি দরে চাল সবই ছিল। তৃণমূলের সময় আরও দু’টি নতুন প্রকল্প চলছে। সিপিএম কোনও দিন আবার ফিরলে এই প্রকল্পগুলি ডাবল-ডাবল চলবে।"
[আরও পড়ুন: অসমে হাতির হামলা! দাঁতালকে জঙ্গলে ফেরাতে গিয়ে মৃত্যু দুই বনরক্ষী-সহ ৩ জনের]
নিজের বক্তব্যের পিছনে যুক্তি দিয়ে সৃজন বলেন, "আমাদের ট্যাক্সের টাকা তৃণমূল সরকার নিয়েছে। সেই টাকার একটি অংশ আবার আমাদের দিচ্ছে। আর একটা বড় অংশ খাটের তলায়, ফ্ল্যাটের তলায় ঢুকে পড়ছে। পার্থ, মানিক, অনুব্রতেরা আমাদের পার্টিতে নেই। আমরা যদি কোনও দিন সুযোগ পাই, মানুষের টাকা যতটা মানুষের কাজে লাগানো যায়, পুরোটা লাগাব। তাতে আজ যিনি হাজার টাকা পাচ্ছেন, তিনি আগামী দিনে দু’হাজার টাকা পাবেন। এটা হতেই পারে। কোনও কিছু বাদ যাবে না।"
[আরও পড়ুন: তিরন্দাজি বিশ্বকাপে সোনা জয়ের হ্যাটট্রিক, ফের বিশ্বমঞ্চে ভারতের জয়জয়কার]
তবে তৃণমূল সরকারের জনপ্রিয় প্রকল্প বাম প্রার্থীর মুখে শুনতে একটু আশ্চর্য লাগলেও বিস্মিত হচ্ছে না রাজনৈতিক মহল। তাঁদের দাবি, তৃণমূল শাসনে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে যতই সরব হোক বিরোধী শিবির, আসলে তারাও জানেন সাধারণ মানুষের কাছে শাসক দলের জনমুখী প্রকল্পের জনপ্রিয়তা কতখানি। তাই প্রকল্প নিয়ে বিরোধিতার খাতিরে যতই আক্রমণ হোক, এগুলিই যে তৃণমূলের জয়ের অন্যতম অস্ত্র তা অস্বীকার করার নয়। ফলে দুর্নীতি ইস্যুতে আক্রমণের পাশাপাশি বহুল জনপ্রিয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে কার্যত সমীহ করতে বাধ্য হলেন সৃজন।